সামসুজ্জামানসহ দুর্দিনের কান্ডারীদের নিয়েই বিএনপির কমিটি হবে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেছেন সিলেটের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বিএনপি নেত্রীর কাছে সিলেটের রাজনীতির প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরেন। তারা বর্তমান সরকার কর্তৃক রাজপথের অগ্রণী নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের দমন পীড়নের কথাও তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দ বলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও রাজপথের সংগ্রামী নেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অসংখ্য মামলা আর হুলিয়া নিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। নেতৃবৃন্দ সিলেটের বিএনপির যেকোনো কমিটিতে ত্যাগী পরীক্ষীত ও দুঃসময়ের কান্ডারীদের স্থান দেওয়ার ব্যাপারে তাদের মতামত তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দকে খালেদা জিয়া বলেন ‘সবাই কে নিয়ে সম্মেলন করতে হবে। সামসুজ্জামান জামান সহ যারা নির্যাতিত হয়েছেন ত্যাগ স্বীকার করেছেন সকল কে নিয়ে সম্মেলন করতে হবে। দলের দূর্দিনের অবদান রেখেছেন ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন এমন নেতারা অবশ্যই পদ পাবেন। কেউ বাদ যাবেনা। তড়িঘড়ি করে সম্মেলন না করে সবাই কে নিয়ে সম্মেলন যেন করা যায় আমি তা বলে দিচ্ছি।
এদিকে ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা বিএনপির সম্মেলন আর হচ্ছেনা বলে জানা গেছে। সিলেট বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে খালেদা জিয়া তাদেরকে আহবায়ক কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সুবিধাজনক সময়ে সম্মেলন করার কথা জানান। সবাই কে নিয়ে সুবিধাজনক সময়ে সম্মেলন আয়োজন করার কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে সিলেট বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়াপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাত করে খালেদা জিয়ার কাছে দলের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। রাত ১০.৩০ মিনিট থেকে ১১.৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী সাক্ষাতে সিলেট বিএনপির বর্তমান বেহাল অবস্থা তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ। বৈঠকের শুরুতে সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিচয় তুলে ধরে সূচনা বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল কেন্দ্রিয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল।
এ সময় খালেদা জিয়ার সামনে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মকসুদ আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক নাজিম উদ্দিন লস্কর। খালেদা জিয়ার সাথে বিএনপিনেতারা বলেন, ‘দলের দুর্দিনে জীবন বাজী রেখে আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রাখা নেতাকর্মীদের বাইরে রেখে সুবিধাবাদীরা তড়িঘড়ি করে সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা করছেন। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি এডভোকেট সামসুজ্জামান জামান আজ আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসার বলি হয়ে পিঠের উপর অসংখ্য মামলা নিয়ে আজ দেশের বাইরে রয়েছেন। অথচ বর্তমান সরকারের সুবিধাভোগী ও আন্দোলন সংগ্রামে কোন ভূমিকা নেই এমন নেতারা আজ যেকোনভাবে সম্মেলন করে পদপদবী লোভে সম্মেলন করতে চাচ্ছেন। সিলেট বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের দাবী হচ্ছে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে যারা আন্দোলন সংগ্রাম ত্যাগ স্বীকার করেছে তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা।’
এ সময় বক্তারা খালেদা জিয়াকে বলেন,‘ সিলেট বিএনপিতে যারা আন্দোলন সংগ্রামের ভূমিকা রেখেছে আজ তাদের কোন পদপদবী নেই। শুধুমাত্র সুবিধাভোগীরা বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন। ’
সবার কথা শোনে খালেদা জিয়ার তার বক্তব্যে বলেন, ‘ সবাই কে নিয়ে সম্মেলন করতে হবে। সামসুজ্জামান জামান সহ যারা নির্যাতিত হয়েছেন ত্যাগ স্বীকার করেছেন সকল কে নিয়ে সম্মেলন করতে হবে। দলের দূর্দিনের অবদান রেখেছেন ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন এমন নেতারা অবশ্যই পদ পাবেন। কেউ বাদ যাবেনা। তড়িঘড়ি করে সম্মেলন না করে সবাই কে নিয়ে সম্মেলন যেন করা যায় আমি তা বলে দিচ্ছি। ’
সিলেট বিএনপি আঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোজাহিদ আলী, জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম ফারুক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট এটিএম ফয়েজ, মহানগর তাঁতীদলের সভাপতি ফয়েজ আহমদ দৌলত, সাধারণ সম্পাদক হাজী শওকত আলী, জেলা যুবদল নেতা সুদিপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, পাপিয়া চৌধুরী, আব্দুশ শহিদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর সালেহা কবির শেপী, কাউন্সিলর এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ, আমেনা বেগম রুমি, কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, জেলা ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না, ওলামাদলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল হক প্রমুখ।