মাদারীপুরে ২ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ২
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দুই বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আটক একজনের নাম শিপন (২০)। অপরজনের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, স্কুলের ক্লাস শেষে ওই স্কুলেই প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফিরছিল ছাত্রীরা। এ সময় স্থানীয় পাঁচ যুবক তাদের ধরে পার্শ্ববর্তী ঈদগাহে নিয়ে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন করে। এতে ওই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।এদের একজনের নাম সুমাইয়া,সে সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামে বিল্লাল শিকদারের মেয়ে। অপরজনের নাম হ্যাপী, সে একই এলাকার হাবিব খা’র মেয়ে। দুইজনই মস্তফাপুর বহুমুখী বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
ঘটনা জানতে পেরে শিপনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসী। পরে আরেকজনকে আটক করা হয়।দুইজনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
পরিবারের দাবি— মস্তফাপুর বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী হ্যাপী ও সুমাইয়াকে স্কুল থেকে ফেরার পথে বুধবার পাঁচ বখাটে অপহরণ করে পাশের কুমার নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। এরপর ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের পর বিষ খাইয়ে তাদের হত্যা করা হয়। সদর হাসপাতালে তাদের লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই ৫ যুবক।
নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল শিকদার জানান, একই এলাকার হাশেম শিকদার ও মিন্টু শিকদারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ১০ বছর আগে তাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ বাধে। এ বিষয়ে মামলা হলে মামলা তুলে নিতে হুমকিও দেওয়া হয়। এরই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
নিহত হ্যাপীর চাচা বজলুর শেখ জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম রাজিব জানান, নিহতদের মধ্যে একজনের শরীরের অসংখ্য স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শ্লীলতাহানির পর বিষপানের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বারেক হোসেন জানান, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে শিপন ও রফিক নামের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। দুই ছাত্রীকে হত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে রাজধানীর ভাটারায় ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।