৮৫ বছর প্রতীক্ষার অবসান ঘটালেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী

biggani_75305সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ৮৫ বছর ধরে সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সন্ধান মিলল অধরা কণা ‘ভাইল ফার্মিয়ন’–এর। আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল গবেষক পরীক্ষাগারে পরীক্ষা চালিয়ে এই কণা খুঁজে পেয়েছেন। এই আবিষ্কারে মোবাইল ফোন, কম্পিউটারসহ বিবিধ বৈদ্যুতিক সামগ্রীর গতি বাড়বে, এসব সামগ্রী হবে আরও শক্তিসাশ্রয়ী।
গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’–এ জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে গবেষক দলের এই সাফল্যের খবর ও ‘ভাইল ফার্মিয়ন’ কণার সন্ধান মেলার প্রামাণ্য তথ্য বিশদভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
ফোনে ঢাকার সংবাদপত্রকে অধ্যাপক জাহিদ হাসান বলেছেন, ভাইল ফার্মিয়নের অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ায় দ্রুতগতির ও অধিকতর দক্ষ ইলেকট্রনিক্স যুগের সূচনা হবে। কেমন হবে সেই নতুন যুগের ইলেকট্রনিক সামগ্রী? অধ্যাপক হাসান ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, এই আবিষ্কার কাজে লাগিয়ে আরও কার্যকর নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ফোন বাজারে এসে যাবে, যা ব্যবহারে তাপ সৃষ্টি হবে না। কারণ ভাইল ফার্মিয়ন কণার ভর নেই। এটি ইলেকট্রনের মতো পথ চলতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে না। তৈরি হবে নতুন প্রযুক্তির কম্পিউটার ও বৈদ্যুতিন নানা সামগ্রী।
এই পৃথিবী, যাবতীয় গ্রহনক্ষত্র, নদীনালা, সমুদ্র, পর্বত, প্রাণিজগৎ, গাছপালা, মানুষ— সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার পিণ্ড। মহাজগতের এসব বস্তুকণাকে বিজ্ঞানীরা দুটি ভাগে ভাগ করেন। একটি ‘ফার্মিয়ন’, অন্যটি ‘বোসন’, যা আবিষ্কার করেছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, তাঁর নামেই ‘বোসন’ কণা। ‘ফার্মিয়ন’ কণার একটি উপদল হলো ‘ভাইল ফার্মিয়ন’।
১৯২৯ সালে বিজ্ঞানী হারম্যান ভাইল এই ‘ভাইল ফার্মিয়ন’ কণার অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিলেন, তাঁর নামেই এই অধরা কণার নামকরণ হয়েছিল। ১৯২৯ সাল থেকেই পদার্থবিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন ‘ভাইল ফার্মিয়ন’–এর অস্তিত্ব প্রমাণের। অবশেষে সেই কণার সন্ধান মিলল।
অধ্যাপক জাহিদ হাসান জানিয়েছেন, মোট তিন ধরনের ফার্মিয়নের মধ্যে ‘ভিরাক’ ও ‘মায়োবানা’ ফার্মিয়নের খোঁজ আগেই পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বহু পরীক্ষায় দীর্ঘ দিনেও ‘ভাইল ফার্মিয়ন’–এর সন্ধান না মেলায় মাঝে তাঁরা ভেবেছিলেন, নিউট্রিনোই সম্ভবত ভাইল ফার্মিয়ন। কিন্তু পরে এ ভাবনা পরিত্যক্ত হয়েছে কারণ নিউট্রিনোর ভর আছে, ভাইল ফার্মিয়ন ভরশূন্য। অবশেষে তার সন্ধান মিলল। ইলেকট্রনিক্সের নবযুগ আসন্ন।