জৈন্তাপুরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করতে গিয়ে ভূল ব্যাক্তিকে কুপিয়ে জখম
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ জৈন্তাপুরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করতে গিয়ে তৃতীয় পক্ষের এক কাটমিস্ত্রিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার সংবাদ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ( ১৪জুলাই) রাত ১১টায় কহাইগড়ের রাস্তায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। আহত কাঠমিস্ত্রী শফিকুর রহমান (৪০) কে মুমুর্ষ অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । তার আবস্থা এখনো আশংকাজনক। আহত শফিকুর রহমান (৪০) উপজেলার চিকনাগুল কহাইগড়ের মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র।
জানা গেছে, জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল এলাকাধীন কহাইগড়ের ডা. মো. রফিক আহমদের সাথে রাস্তা নিয়ে একইগ্রামের মোস্তফা কামালদের মামলা-মোকদ্দমা ও বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরধরে মোস্তফা কামাল ডা,. রফিককে খুন করার জন্য মোস্তফা কামাল তার ভাগনা রাজন ও তার ভাই খালেদকে নিয়োজিত করেন। গত ১৪জুলাই মঙ্গলবার রাতে ডা. রফিক বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন । কিছু দুরে গিয়ে সিগারেট আনার জন্য আবার বাজারে ফিরে যান। এ সময় ডা. রফিকের পেছনে ছিলেন একই গ্রামের শফিকুর রহমান। প্রতিপক্ষ মোস্তফা কামালের লোকজন তাদের নিয়োজিত রাজন ও খ খালেদকে ডা. রফিক বাড়ির উদ্দেশ্যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন বরে খবর দিলে রাজন ও খালেদ চিনতে না পেরে রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া শফিকুর রহমানকে ডা. রফিক ভেবে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গুম করার জন্য তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে ডা, রফিকের পরিবর্তে শফিকুর রহমান দেখে তারা কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়ে। তকড়িঘড়ি করে আহত শফিককে আশংকাজনক অবস্থায সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় হামলা ও খুন হওয়া থেকে বেঁচে যান ডা. রফিক। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তির একদির পর আহত শফিকের জ্ঞান ফিরলেও তার অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। শফিক বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালের ৩য় তলার ৩নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিপক্ষের সন্ত্রসীদের ভূল হামলায় তৃতীয় পক্ষের শফিক আহত হলে বেঁচে যান মূল প্রতিপক্ষ ডা.রফিক। এ ঘটনায় আহত শফিকুর রহমানের স্বজনরা থানায় মামলা করতে চাইলে এলাকার গন্যমান্যরা ভুল হযেছে বলে তাদেরকে মামলা থেকে বিরত রাখেন। চিকিৎসা ব্যয় ও ক্ষতিপূরন আদায় করে দেয়ার আশ্বাস দিলে শফিকের স্বজনরা আপতত মামলা থেকে বিরত রযেছেন।