শ্রীমঙ্গলে উল্টোপথে চলন্ত ট্রেনের ৪ বগি : তদন্ত কমিটি গঠন
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় লাউয়াছড়া পাহাড়ী এলাকা বেয়ে ওঠার সময় সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীবাহী চারটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে উল্টো পথে ৪ কি.মি. ছুটে চলে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ে চার সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার অমৃত লাল সরকার জানান, রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, কুলাউড়া (পরিবহন) আতাউর রহমানকে আহবায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যরা হলেন- উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) আলী আজম, উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী ট্রেন পরীক্ষক এস.কে দত্ত ও উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (সিগন্যাল) কুলাউড়া, হুমায়ুন কবির। তদন্ত কমিটির প্রধান আতাউর রহমান জানান, “আগামী ৩ দিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার ফয়জুর রহমান জানান, রোববার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় শ্রীমঙ্গল থেকে ছেড়ে যায়। শ্রীমঙ্গল স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটি কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া পাহাড়ের ‘আপ’ বেয়ে উঠার সময় ট্রেনের সংযোগস্থলের ‘হুক’ ভেঙে ও ‘ভ্যাকুয়াম পাইপ’ খুলে চলন্ত ট্রেনের পেছনের চারটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে ঢালু পথে চলতে চলতে প্রায় ৪ কি. মি. পিছনে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের অদুরে শাপলাবাগ এলাকায় গিয়ে থামে। এসময় ভয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী কিছুটা আহত হলেও বড়রকমের কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি সামনের দিকে ভানুগাছ রেল স্টেশনে গিয়ে থামে। সেখানে ট্রেনটি পৌছার পর বিষয়টি ধরা পড়ে। অন্যদিকে ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) এন কে বিশ্বাসও মোবাইলে ঘটনাটি চালককে জানান। পরে ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি পেছন দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে আসে। বিচ্ছিন্ন হওয়া বগিগুলো সংযোগের পর রাত সাড়ে ৮টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
স্টেশন মাস্টার অমৃত লাল বলেন,“ বিচ্ছিন্ন হওয়া চারটি বগি ধীরে ধীরে পিছনের দিকে এসে শাপলাবাগে থেমে যাওয়ায় বড় ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।”