ওসমানীনগরে রাস্তার কাজে বাধা
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: ওসমানীনগরের পাঁচপাড়া গ্রামে সরকারী রাস্তার কাজে বাধা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় বাধা দানকারী জাকির গংদের উপস্থিত জনতা ও মাটিকাটা কাজে নিয়োজিত লোকরা উত্তম মধ্যম দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার সকালে উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে , যুক্তরাজ্য যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও প্রবাসী ওসমানীনগর-বালাগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আয়াছের উদ্যোগে উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের সরকারী রাস্তার মাটিকাটার উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। কিন্তু এতে বাধা দেন পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত শাহ সুরত আলীর পুত্র জাকির আহমদ, কালা মিয়ার পুত্র শওকত আলী, তেজন আলী টাকুরের পুত্র শিপন আলী, রাজু আহমদ, সাজু। এসময় জাকির গংরা মাটিকাটার কাজে নিয়োজিত লোকদের অকথ্যভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। উপস্থিত জনতা ও মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত লোকরা জড়ো হয়ে জাকির গংদের ধাওয়া করে উত্তম মধ্যম দেয়। অবস্থার বেগতিক দেখে জাকির গংরা ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের গ্রেফতার করতে বাড়ীতে গিয়ে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুস্কৃতিকারী জাকির গংরা গ্রেফতারের এড়াতে দ্রুত বাড়ী ত্যাগ।
এঘটনার পর জাকির গংরা পাঁচপাড়া গ্রামের সালিস ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য মোহাম্মদ আয়াছের কাছে গেলে তিনি প্রথমে বিষয়টি প্রত্যাখান করেন। পরে রাউৎখাই, পাঁচপাড়া, পরিয়ার খাই ও ফকির পাড়া গ্রামের সালিস ব্যক্তিবর্গরা সম্মিলিত হয়ে মোহম্মদ আয়াছের কাছে আবার ঘটনার মিমাংসার জন্য গেলে তিনি তা সম্মতি দান করেন। ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে পাঁচপাড়া গ্রামের মোহন খানের বাড়ীতে উক্ত সালিস বসে। সালিসে জাকির গংরা ভবিষ্যতে রাস্তার কাজে বাধা অতঃপর অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করবে না মর্মে ক্ষমাপ্রার্থী হলে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। এবং মোহাম্মদ আয়াছ সহ গ্রামের মুরব্বিদের কাছে জাকির গংরা ক্ষমাপ্রার্থী হন।
সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সালিস ব্যক্তিত্ব রাউৎখাই গ্রামের আব্দুল আহাদ, নেওর মিয়া, খালিস মিয়া, শিশুু মিয়া, পাঁচাপাড়া গ্রামের মকদ্দুস আলী, তাহির খা, আখতার উজ্জামান হেলন মিয়া, শাহ জিল্লুল হক, নাজমুল হোসেন মটুক, আকিকুর রহমান চৌধুরী, মোহন খান, পরিয়ার খাই গ্রামের লুৎপুর রহমান হিরা, ফকির পাড়া গ্রামের আনিছুজ্জামান সেলিম। সালিস ব্যক্তিত্বরা ও উপস্থিত জনতা মোহাম্মদ আয়াছ যুক্তরাজ্য থেকে এসে গ্রামে জনসেবামূলক কাজ করায় প্রশংসা করেন। এবং গ্রামের উন্নয়নে আরোও কাজ করার প্রেরণা দান করেন।