সিলেট সংস্কৃতি কেন্দ্রের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা
স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পেতে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিজয় অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপের বিকল্প নেই
—–মুকতাবিস-উন-নুর
সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক পুণ্যভুমি সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নুর বলেছেন, মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতিসত্তাকে জাগরণের প্রেরণার উৎস। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিশ্বের বুকে শুধু একটি রাষ্ট্রের জন্ম দেয়নি, সাহসী সংগ্রামী আপোষহীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড় করিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদান ও জাতির গর্বিত সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও মানুষ স্বাধীনতাকেই খুজঁছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও যে বিষয়টি আমাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তা হল অপসংস্কৃতি। আমাদের যুব সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও অপসংস্কৃতির ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য আমাদের রাষ্ট্র ও সরকারগুলোর ভুমিকা খুবই হতাশাজনক। রাজনৈতিক হানাহানি ও ক্ষমতার দ্বন্দে আমাদের রক্ত¯œাত অর্জনগুলো আজ বিসর্জন হতে চলেছে। এই অবস্থা থেকে জাতিকে রক্ষায় নৈতিকতা সম্পন্ন সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চার প্রসার সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। এক্ষেত্রে যেসব সংগঠন অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে তাদের মধ্যে সিলেট সংস্কৃতি কেন্দ্র একটি মাইলফলক হয়ে আছে।
তিনি গতকাল শুক্রবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সিলেট সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যক্ষ কবি আবুল কালাম আজাদ-এর সভাপতিত্বে ও সমন্বয় কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম খান-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক জাহেদুর রহমান চৌধুরী। আব্দুল্লাহ আল মাসুমের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত সভায় বক্তব্য রাখেন কবি নাজমুল আনসারী, প্রভাষক যিন্নুরাইন চৌধুরী, এডভোকেট জুনেদ আহমদ, প্রাবন্ধিক আহমদ হোসাইন প্রমুখ। স্বরচিত স্বাধীনতার কবিতা আবৃত্তি করেন প্রভাষক কবি নাজমুল আনসারী ও দেশের গান পরিবেশন করেন মোশাহিদুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে কবি কালাম আজাদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ যে লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা অর্জনের ৪৪ বছর পরও শুধু একটি ভুখন্ডের স্বাধীনতা ব্যাতিত আমরা অনেক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত। স্বাধীনতার স্বাদ শুধু ভুখন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে দেশপ্রেমিক জনতাকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। যুব সমাজের চরিত্র বিধ্বংসী সাংস্কৃতি আগ্রাসন মোকাবেলায় বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সরকারকেও অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি