ঘাষিটুলায় বিএনপি নেতার বাসায় ৮ রাউন্ড গুলি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বুধবার গভীর রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানকালে সাবেক বিএনপির নেতার বাসায় ৮ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাত আনুমানিক সারে তিনটার সময় অভিযান পরিচালনার করে যৌথবাহিনী। ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানের বাসায় অভিযানকালে যৌথবাহিনী ৮ রাউন্ড গুলি করে বলে তাঁর মেয়ে মনু বেগম গনমাধ্যমকে জানায়।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ঘরের ষ্টিলের দরজার উপর ৮ রাউন্ড গুলির দাগ। রান্নাঘরের জানালা ও ঘরের ভেতর দরজা ভাঙ্গাঁ।
বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানের মেয়ে মনু বেগম ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘রাত আনুমানিক সারে তিনটার সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা আমাদের বাসা এসে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করে। এ সময় তাঁরা উগ্র আচরণ শুরু করে। ঘরের মধ্যে ছিলো আমার দুই চাচাতো ভাই ও আমরা দুই বোন এবং বাসার ছোট সদস্যরা। তাঁরা কোন ধরনের রাজনিতীর সাথে সম্পৃক্ত নয়। যৌথবাহিনীর সদস্যরা এ সময় চিৎকার করে গালিগালাজ করতে। দরজা না খুললে গুলি করার হুমকি দেয়। আমরা তাদের কাছে আকুতি করে বলি‘আমাদের ঘরে রাজনীতি করে এমন কেউ নেই’। কিন্তু তাঁরা এরপরই দরজার উপর একেরপর এক ৮ রাউন্ড গুলি করে। বিকট শব্দে ষ্টিলের দরজার উপর গুলি লাগে। এতে বাসার মহিলা ও শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে। যৌথবাহিনী সদস্যরা বাড়ির সব জানালায় লাথি মারতে থাকে। ভয়ার্ত এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এক সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা রান্নাঘরের জানালা ভেঙ্গে দরজা খুলে ঘরে ডুকে পরে।
বাসার মহিলাদের হুমকি -ধামকি দেয়। ঘরের ভেতর তন্নতন্ন করে খুজেও কিছু পায়নি তাঁরা। যাওয়ার সময় আমার চাচাতো ভাই রমজান আলী কে আটক করে নিয়ে যায়।’
এদিকে অভিযানে গুলি চালানোর ব্যাপারে কোতোওয়ালী থানার ওসি গনমাধ্যমকে বলেন, ঐ বাসা থেকে আটক হওয়া রমজানের বিরুদ্ধে মামলা আছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চলমান মামলাগুলোতে সেও আসামী। বাসার দরজার উপর ৮ রাউন্ড গুলির কথা অস্বীকার করে ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঐ বাসায় ১ রাউন্ড গুলিও হয়নি। ৮ রাউন্ড তো দূরের কথা। ঐ খানে কোন গুলিটুলিই হয়নি।’
এদিকে অভিযানকালে গুলির ও বাসার দরজা জানালা ভাঙ্গাঁ সম্পর্কে এসএমপির মিডিয়া অফিসার এডিসি রহমত উল্যাহ সিলেটেরকণ্ঠ টুয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, ‘ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারো বাসার ডুকতে চাইলে অবশ্যই তাকে দরজা খোলে সহযোগীতা করতে হবে। আর যদি দরজা না খোলা হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বল প্রয়োগ করে বাসায় ডুকতে পারবে। এটা আইনে আছে।