দালান ভেঙ্গে পড়ার কারন ও প্রতিকার
২০১৫ সালে যেনো কোন মার্কেট বা কোন দালান ভেঙ্গে না পড়ে , আর যেনো দালান ধ্বসে কোন কর্মীদেও মৃত্যূ না হয় সে ইচ্ছা নিয়ে আমার আর্টিকেল। সকলের উপকারে আসলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। প্রকৃত প্রকৌশলরিা যেনো নির্মাণ কাজ করতে পারেন এবং শেখার সুযোগ পান । কেউ যেনো মতা ও বড়ো মাপের আত্মীয়দেও প্রভাবে র্নিমাণ ব্যবসা না করতে পারেন আমাদের বাংলাদেশে সে প্রার্থনা করি।
নির্মাণের নকশা এবং তার উপর ভিত্তি করে সঠিক মাঠ পর্যায়ে কাজ একমাত্র প্রধান শর্ত, কেননা এর মাঝে সামান্য ভূল থাকলেই হতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা, চলে যেতে পারে বসবাসরত সকলের জীবন মর্মান্তিক ভাবে। কি ধরনের ভূল আমাদের দেশে সাধারনত হয়ে থাকে সে সম্পর্কে কিছু ইঙ্গিত দেয়াই এ লেখাটির উদ্দেশ্য।
সাধারনত বলা যায় প্রতিটা নির্মাণেই বিশাল অর্থের ব্যাপার। হয়ত মূল নির্মাতা সেটা জেনেই নির্মাণ কাজে হাত দেন। কিন্তু যারা করেন তাদের ভূল বা অবহেলার গড়ে উঠে মৃত্যুর ফাঁদ। আবার এর বিপরীতে হতে পাড়ে। আসলে দোষ তো আর কেউ স্বীকার করে না। একটি মার্কেট, হাসপাতাল বা গৃহ নির্মাণে যে ইট বালু পাথর সিমেন্ট জরুরী এবং তার পরিমাণ যে কতটা জরুরী তা অনেকে না বুঝে থরচ কমাতে ধান্দায় থাকেন। দু একটা বস্তা খোয়া বা সিমেন্ট সরালে হয়তো চোখে পড়বে না কিন্তু সমগ্র হিসাবে এর যে প্রভাব কতটা পড়বে তা একজন জ্ঞানি প্রকৌশলী ঠিক বুঝতে পারেন। আর তাই তিনি হিসাব করে দেন কত পরিমাণ কি লাগবে। তা মানা না মানা অন্যেদের ব্যাপার তা সঠিক নির্মাণে উদাসীন এবং মানুষের জীবন তা হয়তো মূল্যহীন নিজের পকেট ভরতে গিয়ে দু একট জীবন যায় যাক তাতে তার কি। এটা বলে রাকা ভাল যে সামান্য পরিমাণ রড কমাতে হলে সমগ্র নকশায় যে পরিবর্তন করতে হয় তা না যেনে করেন তাই এ জন্যই মরতে হয় সাধারণ মানুষকে।
আমাদের দেশে কেন একের পর এক ভেঙ্গে যাচ্ছে তা কিছুটা ধারনা দিতে এসেছি আজ ২০১৪ সালে নির্মাণ হয় নিরাপত্তাহীণ, অমিমাংশিত নির্মাণ,যা এটা খুবই কষ্টের ও দুঃখের ব্যাপার প্রধামত বলতে হয় একজন আর্কিটেকচারের ভূমিকা নিয়ে একজন আর্কিটেক সুন্দর ভাবে আপনাকে বলে দেবে কি ধরনের নির্মাণ এ জায়গাটার জন্য উৎকৃষ্ঠ এবং জিনি সুন্দর একটা নকশা আর দিক নির্দেশনা দেবেন। তারা বলে দেবেনে দুইটা দালানের মাঝে নির্মাণে কেমন নিয়ম আর খোলা মাছে বা নদী/সাগরের পাড়ে কেমন নির্মাণের নিয়ম। তা মন দিয়ে শুনবেন। ব্যক্তিগত লোভের কারনে কখনোই তাকে বাজে নকশা তৈরীর জোর দেবেন না।
তার পড়ে আসুন খরচ বিষয়ে। নিজের পরিশ্রমীকা মালিকের কাছে ভালো করে বুঝে নেবেন। মাঠে গিয়ে ভূল সিদ্ধান্ত নিবেন না। এটা মনে রাখা এবং মানা বাঞ্চনীয় যে, যে পরিমান উপকরণ দেয়া হয়েছে তা কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার হিসাব করেই দিয়েছেন। কাজেই সম্ভব ত্র“টি ঘটাবে বিশাল প্রাণহানী এবং আপনার মান হানী।
এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । একটা সুন্দর নির্মাণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে সব বিষয়ের উপর নির্ভর করে বা আমাদের দেশে মান হয়না বললেই চলে। সেগুলো কি? ১। কর্মীদের মজুরীতে অনিয়ম চলে, ২। সঠিক ভাবে সাইট ইঞ্জিনিয়ার না থাকা, সাইট নির্বাচন এবং ভূল নকশা, ৩। কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়া হুট হাট করে নির্মাণ শুরু করা, ৪। আবহাওয়া সম্পর্কে জ্ঞান সীমিত।
সকলের পে নির্মাণের সমগ্র জ্ঞান রাখা সম্ভব নয়। তবে সাধারণ ব্যাপারে জ্ঞান জমির মালিকদের অবশ্যই রাখা দরকার। তাদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে টিকে আছে আমাদের দেশে বেঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অনেকেইণ। তাদের প্রভাবে ঝড়ে যায় দদের দল। গড়ছে দালান বানাচ্ছে টাকা । সে সব জায়গায় সঠিক বর্জ নিষ্কাষন কোন ব্যাবস্থা নেই, নেই বশিুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, সামান্য বৃষ্টিতে ঢাকায় বসবাস বন্ধ হয়ে যায়।
এভাবে চলতে থাকবে রাজধানী ঢাকাঅন্ধত্বে চাদরে ঢেকে যাবে। একের পর এক দালান ভেঙ্গে পড়বে মরবে শতশত মানুষ আমি একজন সাধারন মানুষ এর প্রতিকার চাই। আমি আমার বাংলাদেশ সুন্দর করতে চাই। সবাই যেনে বলে পৃথিবীর মানচিত্রে এ দেশ শান্তির জায়গা এ দেশের মানুষ গরিব হতে পারে কিন্তু তারা বাচঁতে যানে আনন্দের মাঝে।
২০১৪ সালে এসে দেখি আমাদের দেশে একাধিক প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ডিপ্লোমা এবং বি.এস.সি পর্যায়ে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তাহলে কেন আজও বাংলাদেশে ভূল নির্মাণ হচ্ছে? শুধু দালান নয় ভেঙ্গে পড়ছে রাস্তা এবং ব্রিজ। তাহলে কি প্রিন্ট করা কাগজে সার্টিফিকেটের কোন মূল্য নেই। কেন বেঙের ছাতার মত ঘরে উঠেছে কন্সোট্রাকশন অফিস? আর অভিজ্ঞতার মিথ্যা নাটকে চলছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। তা যেনো আর সামনের বছরে দেখতে না হয়। আবার বলি সকলে- প্রকৃত প্রকৌশলরিা যেনো নির্মাণ কাজ করতে পারেন এবং শেখার সুযোগ পান । কেউ যেনো মতা ও বড়ো মাপের আত্মীয়দেও প্রভাবে র্নিমাণ ব্যবসা না করতে পারেন আমাদের সে প্রার্থনা করি।
( লেখক পরিচিতি: প্রকৌশলী মীর্জা শামীম হাসান ২০১২ তে বি.এসসি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে উত্তীর্ন হন। তিনি নির্মাণের স্ট্রাকচার এবং ট্রান্সপোর্টে থিসিস করেন। পরের বছর সিলেকশনের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারস ইস্টিটিউশন , বাংলাদেশ ( আই.ই.বি) –এ সদস্য সম্মান লাভ করেন। তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক (মৃত) মীর্জা আমজাদ হোসেনের নাতি ও সাংবাদিক মীর্জা সেলিম রেজার মেজো পুত্র। মোবাইল: ০১৬-৭৭৩-২১২-৬১,০১৬-৭১৯-২৪২-০২)