ওসি মোস্তাফিজ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে – এমপি শফিক
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটের ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের জানাযা শেষে লাশ নিয়ে কুমিল্লার পথে রওয়ানা হয়েছেন পরিবার ও সহকর্মীরা। সিলেট পুলিশ লাইন মাঠে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ওসমানীনগর থানা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এসময় তার স্ত্রী ও দুই কন্যা উপস্থিত ছিলেন। পরে ওসি মুস্তাফিজের লাশ নিয়ে তারা কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ওসি মুস্তাফিজের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা জেলার সদর থানার মোগলটুলির পাথারিয়া গ্রামে।
বুধবার এশার নামাজের পর সিলেট পুলিশ লাইন মাঠে অনুষ্ঠিত জানাযায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মস্তাক আহমদ পলাশ, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদসহ আরো অনেকে অংশ নেন।
পুলিশ লাইন থেকে পরে শফিকুর রহমান চৌধুরী লাশ নিয়ে ওসমানীনগর থানায় যান। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার, বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানাযায় অংশ নেন। জানাযা পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী ওসি মুস্তাফিজের মৃত্যুকে হত্যাকান্ড উল্লেখ করে বলেন- সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। তবে নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়টি খেয়াল করতে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য যে সিলেটের গোয়ালাবাজারে অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া টিয়ারসেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওসমানীনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। বুধবার বিকেল পৌণে ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেফতারে দিনভর অভিযান অব্যাহত ছিল। নিহতের ঘটনায় পুলিশ বুধবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩২ জনকে আটক করেছে। সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।