জৈন্তাপুরে বিলে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৩০
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বড়জুরী (কাঠাগাঙ্গ) এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, জৈন্তাপুর মডেল থানার এ.এস.আই নবী হোসেন (৪২), কনেষ্টবল মো. রিপন (২১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের মকাডুল মৌজার প্রায় ১১একর ভুমির উপর বড়জুরী (কাঠাগাঙ্গ) বিলের মহাল সামিল জলকর হিসাবে ভোগ দখল করে আসছে ছাতারখাই গ্রামবাসী। বিলটি গত বৎসর স্থানীয় ভাবে নিলাম ডাকা হলে ঐবৎসর ছাতারখাই গ্রামের বাহার উদ্দিন পাখি নিলাম গ্রহন করে। পরে তার সাথে যুক্ত হন দরবস্ত চাল্লাইন গ্রামের আব্দুল হক মেম্বারের ছেলে বশির আহমদ। চলতি বৎসরে বিলটি গ্রামবাসী নিলাম না দিয়ে নিজেরা মাছ ধরে আসছে। গত কয়েক দিন থেকে বিগত বৎসরের নিলাম গ্রহীতা জোর পূর্বকভাবে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় গ্রামবাসীর কাছ থেকে বিলটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের লোকজন বিলে মাছ ধরতে যান। এ সময় জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ বিলে গিয়ে মাছ ধরা অবস্থায় গ্রামবাসীকে ধরে আনার চেষ্টা চালায়। একপর্যায় গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা পরে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটে। এতে জৈন্তাপুর মডেল থানার এএসআই নবী হোসেন, কনেষ্টবল মো. রিপনসহ ৩০জন আহত হন।
এদিকে গুরুত্বর আহত পুলিশের এএসআই নবী হোসেনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে এ ঘটনায় গ্রেফতার আত্মংকে ছাতারখাই গ্রামে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
এ ব্যপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ অভিযোগ পেয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার সাথে বিলে যায়। এসময় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এসময় আইন শৃঙ্খলায় নিয়েজিত থাকা ২ জন পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।