জন কেরিকে একহাত নিলেন শেখ সেলিম

selim_ ডেস্ক রিপোর্ট:আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম আজ শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির তীব্র সমালোচনা করেছেন। রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাজ ও তার বন্ধু তনয় খুনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন করা এবং ঐ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলার পর এই সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় শেখ সেলিম বক্তব্য রাখছিলেন। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি প্রস্তুত করতে এই সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ।

মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও দাতা সংস্থা ইউএস এইডের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান হত্যার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ফোনের সমালোচনা করে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘আজ বিএনপি-জামায়াত যে কথা বলে, জন কেরিও একই কথা বলেন। জন কেরি আমাদের শিক্ষা দেয়, শেখ হাসিনাকে ফোন করে বলে- তাদের নাগরিক, বন্ধু জুলহাজ মান্নান -এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন। পচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সময়, বিশ্বের জঘন্যতম ওই হত্যাকাণ্ড, যেখানে মা-শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে; তখন জন কেরিরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশে খুনের রাজনীতির ইন্ধন দিয়েছিল।’

জন কেরিকে উদ্দেশ্য করে শেখ সেলিম বলেন, ‘আজকেও আমেরিকায় অবস্থান করছে বঙ্গবন্ধুর তিনজন খুনি, কিন্তু আপনারা তাদের এখনো হস্তান্তর করছেন না। এদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশ যাতে সামনে এগিয়ে যেতে না পারে। এদের রাজনীতি হচ্ছে যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত না থাকে। এরা বঙ্গবন্ধুকে বিপর্যস্ত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের একজন নেতাকেও হত্যা করা হয়েছে। জন কেরিরা সে কথা বলে না। তারা উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলে। এই জন কেরি, যখন কাদের মোল্লার ফাঁসি হয় তখনও প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ‘ফাঁসি না দিয়ে পারা যায় না?’ আমার দেশে গণহত্যা করেছে, তাদের সমর্থনে সুপারিশ করে- এরা কারা? এদের একাত্তরের ভূমিকা মাথায় রেখে জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়।’