যুক্তরাষ্ট্রে খুন হওয়া বাংলাদেশি দম্পতির ছেলে গ্রেপ্তার
ডেস্ক রিপোর্টঃ ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে শহরে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি দম্পতি গোলাম রাব্বি ও শামীমা রাব্বির বড় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খুনের দুইদিন পর রাব্বি দম্পতির ১৭ বছর বয়সী ছোট ছেলের সন্ধান পায় পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড় ছেলে হাসিব রাব্বিকে (২১) বুধবার সন্ধ্যায় ট্র্যাসি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।
গত রোববার (২৪ এপ্রিল) ওই দম্পতির গুলিবিদ্ধ লাশ তাদের বাড়ির মেঝেতে আবিষ্কার করেন তাদের বন্ধুরা।
পেশায় প্রকৌশলী গোলাম রাব্বি এবং হিসাবরক্ষক শামিমা সান হোসের এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
বগুড়ার সন্তান গোলাম রাব্বি ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে খ্যাতি অর্জনকারী ‘এমদাদ অ্যান্ড সিতারা খান ফাউন্ডেশনের’ চেয়ারপারসন সিতারা খানের ছোট ভাই গোলাম রাব্বি।
নয় বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে গোলাম রাব্বি ছিলেন পঞ্চম। তার তিন বোন মারা গেছেন। চার বোন যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করেন। জীবিত একমাত্র ভাই রয়েছেন বাংলাদেশে।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কয়েকদিন ধরে গোলাম রাব্বির কোনো খোঁজ না পেয়ে গত রোববার বিকালে তার কয়েক বন্ধু সান হোসের বাড়িতে যান।
সেখানে গিয়ে তারা বাড়ির দরজা খোলা দেখতে পান। ঘরে ঢুকেই তাদের চোখে পড়ে তারা খুনের ভয়াবহ দৃশ্য। দুজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ কাঠের মেঝেতে পড়ে ছিল।
সেখানে একটি চিরকূটও পাওয়া যায় যাতে লেখা ছিল- ‘দুঃখিত, আমার প্রথম খুনটি ছিল বিরক্তিকর’।
এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তারা ওই বাড়ির দেওয়ালে লেখা আরেকটি বার্তা দেখতে পান। বার্তাটি এমন- ‘তোমার মত আমি মিথ্যাবাদী হতে পারব না। আমি ওদের (মা-বাবা) অজ্ঞাতে অথবা সম্মতি ব্যতিত কাউকে ভালবাসতে পারব না।’
রাব্বি দম্পতির লাশ যখন পাওয়া যায়, তখন তাদের দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। এদিকে শিগগিরই রাব্বি দম্পতির লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হবে বলে এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের কর্মকর্তারা আশা করছেন।