জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের উৎস কি? : মির্জা ফখরুল
ডেস্ক রিপোর্টঃ ‘আদালতে পেশকৃত মার্কিন সরকারের ডকুমেন্টে উল্লিখিত সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের উৎস কি ? জনগণ তা জানতে চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে সরকার টু শব্দটি করছে না কেন ? শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংকগুলোর যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে তারও কোন বিচার হচ্ছে না। এই দুই বিষয়ের মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কি নাÑএটা জানার অধিকার অবশ্যই জনগণের আছে। আর তাই জনগণ এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত চায়। জনগণ জানতে চায় যে, প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উৎস কি, এই বিপুল অর্থের প্রকৃত মালিক কে? আমরা আশা করি সরকার জনগণের এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দেয়ার জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, দেশে জনগণের সরকার হওয়ার কথা। সেই জনগণের সম্পদ রক্ষার পরিবর্তে গুটি কতক মানুষকে অন্যায়ভাবে সম্পদের মালিক হতে দেয়ার অধিকার কোন সরকারের থাকতে পারেনা। নির্বিঘেœ এসব লুটপাট চলতে দেয়ার ফলে আজ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ পর্যন্ত চুরি করা হয়েছে। এটা বন্ধ করা না গেলে আমাদের প্রিয় দেশটা ফতুর হয়ে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় পুনরায় উল্লেখ করতে চাই যে, বিএনপি একটি জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক দল হিসাবে অপহরণ কিম্বা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের আমলেই বিএনপি এবং এর অঙ্গদল ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী অপহরণ ও হত্যার শিকার হয়েছে Ñ যার কোন বিচার আজও হয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আজ হোক কাল হোক এসব রাজনৈতিক অপহরণ ও হত্যার বিচার হবেই ইনশাআল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদচৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-দফতর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ।