বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকছে বরাম হাওরে, হতাশায় হাওর পারের কৃষকরা

Derai-sulla picজুবের সরদার দিগন্ত, দিরাই-শাল্লা প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে কালনী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে বরাম হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ধান কাটার শ্রমীক না থাকায় হাওরের পাকা আধা পাকা ধান চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে পানির নিচে। হতাশায় পরেছেন হাওরপারের কৃষকরা। গতকাল রোববার বিভিন্ন হাওর পারের কৃষকদেও সাথে কথা বললে তারা হতাশায় তাদেও দুঃখের কথা বলেন। চাপতি হাওর পারের কৃষক ফখরুল ইসলাম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, নিজের পরেরসহ পাঁচ হাল জমিতে চাষ করেছি। এভাবে হাওরে পানি ঢুকতে তাকলে চার পাঁচ জন ধান কাটার শ্রমীক দিয়ে কতোটুকু ধান কাটতে পারবো জানি না, হাওরে যেভাবে পানি ঢুকতে শুরু করেছে অভিলম্বে যদি বাঁধ সংরক্ষণ করা না যায় তাহলে সমস্ত হাওরের ধান পানির নিচে তলিয়ে যাবে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার প্রতি বছর হাওরের বাঁধের জন্য লাখ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিলেও পানি উন্নয়ন র্বোডের ও পিআইসির লোখেরা লোখ দেখানো কাজ কওে বাকী টাকা লুটেপুটে খান, আর এর মাসুল দিতে হয় আমাদের। হাওর পারের আরেক কৃষক শাকিতপুর গ্রামের পাবেল আহমদ বলেন, পরের জমি বর্গা নিয়ে ধার দেনা করে চাষ করেছি, জমিতে ভালো ফসল হয়েছে হাওরে পানি ঢুকা বন্ধ করতে না পারলে চোখের সামনে অর্ধপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রনদীর ভুষণ চৌধুরী জানান, বরাম হাওরে ৩ হাজার ২শত হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়েছে যার মধ্যে ৪০ হেক্টও জমির ধান কটা হয়েছে। একনই বাঁধ রক্ষা করা না গেলে হাওরের বাকী জমির কাছা পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে যাবে। উপজেলা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় কৃষকরা বাঁধে মাটি দিয়ে বাঁধ রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নিজের জমির পাকা ধান কাটতে ব্যাস্থ থাকায় মাটি কাটার শ্রমিকের অভাবে বাঁধ রক্ষার কজে ধীরগতিতে চলতে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কালনী নদীর পারের সবকটি বাধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। রোববার রাতে খেজাউরা বাঁধ দিতে হাওরে পানি ঢুকা শুরু করেছে, আমরা সবাই মিলে মাটি দিচ্ছি নদীর পানি আর না ভারলে বাঁধ রক্ষা করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী। পানি উন্নয়ন র্বোডের সহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমানের মুঠোফোনে একাধীক বার ফোন দিয়েও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।