শিক্ষিকা যখন পর্নো তারকা
ডেস্ক রিপোর্টঃ অনলাইনে শিক্ষিকার পর্নো ছবি দেখে হতবাক শিক্ষার্থীরা। শুধু স্থির চিত্রই নয়, ভিডিও রয়েছে সেখানে। এ বিষয়টি পরে অভিভাবকদের নজরে যায়। শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা ওই ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে দেয় অনলাইনে। এতে চাকরি হারাতে হয়েছে জর্জিয়ানা ডি নামের ওই শিক্ষিকাকে। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি অনলাইনে পর্নো তারকা হিসেবে দ্বিতীয় পেশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বয়স তার ২৭ বছর। রোমানিয়ার এক স্কুলের ১৪ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর নজরে আসে তার রগরগে সব ছবি ও ভিডিও। তাতে তারা তাকে একজন পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। পাশাপাশি হাতে পায় তার নগ্ন ছবি। সঙ্গে সঙ্গে ওই শিক্ষার্থী তা শেয়ার করে সহপাঠীদের সঙ্গে। এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদকে জানানো হয়। তারা জর্জিয়ানা ডি’র সামনে অপশন ছুড়ে দেন। তাতে তাকে চাকরি ছাড়া বাদে আর কোন সুযোগ রাখা হয় নি। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের অধ্যক্ষা মারিয়ানা ক্যাট্রিনা আভ্যন্তরীন তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনায় আমরা হতবাক। আমরা কল্পনাও করতে পারছি না যে, একটি স্কুলের শিক্ষিকা এমন কাজ করতে পারেন। এ নিয়ে যখন আমি জর্জিয়ানা ডির সঙ্গে কথা বলি, তাকে নগ্ন ছবিগুলো দেখাই তখন তিনি বলেন, এগুলো ভুয়া। অধ্যক্ষা বলেন, আমার দৃষ্টিতে এটা এক গুরুতর পরিস্থিতি। কারণ, এটা নৈতিকতার সঙ্গে যায় না। এমন কর্মকা- স্কুলের নীতিবিরোধী। এতে আমাদের সুনামের অনেক ক্ষতি হয়েছে। রোমানিয়ার প্রিসাকানিতে জন্মগ্রহণ করেন জর্জিয়ানা। তার এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার আগে দু’বছর স্থানীয় একটি স্কুলে চাকরি করছিলেন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ভূগোল নিয়ে। তার বিষয়ে অধ্যক্ষা ক্যাট্রিনা বলেন, তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন কাঁদতে কাঁদতে। এসেই একটি চাকরির জন্য কান্নাকাটি করেন। যে পরিস্থিতিতেই হোক তিনি একটি কাজ চান। জর্জিয়ানার প্রতিবেশী ইউগিনিয়া ড্রাগান এ খবর শুনে হতভম্ব। তিনি বলেন, এমন আচরণ একটি শিক্ষিকা করতে পারেন এমনটা এর আগে কখনো তিনি শোনেন নি। আমি তো ওই একই স্কুলে ৪২ বছর চাকরি করেছি। আমার স্কুলে এ আচরণ করতে পারেন কেউ এমনটা ভাবতেও আমার লজ্জা হচ্ছে। এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। ওই স্কুল থেকে শিক্ষকতার চাকরি হারানোই শেষ নয়, শিক্ষকতায় তিনি সারাজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। এমনটা বলেছেন একজন শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা।