ইস্তাম্বুলে সমবেত হয়েছেন মুসলিম বিশ্বের নেতারা
ডেস্ক রিপোর্টঃ মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বিরাজমান মতপার্থক্য দূর করার লক্ষ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে সমবেত হয়েছেন বিশ্বের ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।
দুদিন ব্যাপী এ শীর্ষ সম্মেলন বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এবং এতে ভাষণ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। শুক্রবার এরদোগানের এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শীর্ষ সম্মেলন শেষ হবে।
১৯৬৯ সালে ওআইসি প্রতিষ্ঠার তুরস্ক এই প্রথম এ সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করল। আগামী দুই বছরের জন্য ওআইসির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে তুরস্ক।
এবারের বৈঠকে মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সৌদি রাজা সালমান বি আবদুলআজিজ, ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অংশ নিয়েছেন।
তুরস্ক বলছে, বিশ্বের ১৭০ কোটি মুসলমানের মধ্যে মতপার্থক্য নিরসন করার চেষ্টা করবে তারা।
তবে সিরিয়া ও ইয়েমেন সংকট এ সম্মেলনে কালোছায়া ফেলেছে। সৌদি আরব ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান দুটি দেশের সঙ্কটে বিপরীতে মেরুতে অবস্থান নিয়েছে।
সাবেক উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ইস্তাম্বুলে, যেখানে বসে উসমানীয় শাসকরা কয়েক শতাব্দী শাসন করেছেন, আয়োজিত এ সম্মেলন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য ওআইসি অধীনে একটি সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন
‘আরো একবার আমি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনার আহ্বান জানাই। মাঠে যেমন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই প্রয়োজন তেমনি এসব সংগঠনের আর্থিক ও জনশক্তিকেও টার্গেট করে প্রচেষ্টা চালাতে হবে,’ বলেন এরদোগান।
‘সেজন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। ওআইসির অধীনে একটি সংস্থা গড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতা মজবুত এবং প্রাতিষ্ঠানিক করা হবে একটি সঠিক পদক্ষেপ।’
সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব নেতাই অংশগ্রহণ করলেও মিশরের স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি অংশ নেননি। অংশগ্রহণ করেননি জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহও। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেননি।
সূত্র: আলজাজিরা, আনাদুল এজেন্সি