সম্মিলিত নাট্য পরিষদের বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ
বাঙালীর সংস্কৃতির বিকাশ ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
গতকাল ১৩ এপ্রিল বুধবার সিলেটের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট বিগত বছরের ন্যায় এবারও সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীনব্রীজ সংলগ্ন চাঁদনীঘাটে (সুরমা নদীর তীরে) আনন্দ উৎসব পালন করল বাংলা বর্ষকে বিদায় ও নববর্ষ ১৪২৩কে বরণের মধ্য দিয়ে।
চাঁদনীঘাটের সিঁড়ি সংলগ্ন নদী তীরে ভাসমান নৌকায় মঞ্চসজ্জা করে হাজারো প্রাণের উপস্থিতিতে বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হয় ব্যতিক্রমধর্মী এই আনন্দ উৎসব। আনন্দ উৎসবে অংশ নেয় ও উপস্থিত ছিল গ্রীন ডিজেবল ফাউন্ডেশন, নান্দিক নাট্যদল, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চর্যাপাঠ, ছন্দ নৃত্যালয়, বাউল শিল্পী আবদুর রহমান, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী লাভলী দেব, শামীম আহমদ সহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি অনুপ কুমার দেবের সভাপতিত্বে পরিষদের খোয়াজ রহিম সবুজের পরিচালনায় শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত। আনন্দ উৎসবের সমাপনী হয় ১৪২২ বাংলার শেষ সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে। নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে দেশ ও সমাজের মঙ্গল কামনা করে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন- বাউল শিল্পী আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রাক্তন প্রধান পরিচালক ব্যারিষ্টার মোঃ আরশ আলী, প্রাক্তন সহসভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শামসুল বাছিত শেরো, পরিষদের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক সাইফুর রহমান চৌধুরী সুমন, নির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসেন তপাদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী বছরের সকল গ্লানী ও অসম্পূর্ণতাকে পূরণ করতে নববর্ষের প্রথম দিন থেকে সুখী সমৃদ্ধশালী অসম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ বাঙালীর সংস্কৃতি বিকাশে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নববর্ষকে স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিদায়ী বছরের সকল অর্জনকে সমৃদ্ধশালী করে আগামীদিনের নতুন সূর্যকে আহ্বান জানানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
বৃষ্টি বিঘিœত হওয়ায় মাঝখানে অনুষ্ঠানের ছন্দপতন ঘটলেও উপস্থিত শিল্পী ও নাট্য কর্মীরা বিদায়ী বছরের শেষ লগ্নকে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে।