৩ কোটি টাকার মামলা : ছাতকে লন্ডন প্রবাসী সুন্দর আলী পুত্রসহ কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার:: প্রায় ১২ কোটি টাকার জমি বিদেশে বসেই বাংলাদেশে মাত্র ৮০ লাখ টাকায় কেনা হয়েছিল। সেখানে মানি লন্ডারিং করা হয়েছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার। আর আদালতে এক মামলার জেরার মুখেই এ তথ্য বেরিয়ে আসে। এই মানি লন্ডারিং চক্রে জড়িত দেশি-বিদেশি লোক। গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেটের একটি বিশেষ দলের হাতে আটকের পর ছাতকের সৈয়দেরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের এ জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, গতকাল বেলা ২টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুদক সুন্দর আলীর ছেলে নয়নকেও আটক করেছে। বাবা-ছেলেকে দুদক ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠায়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
দুদক ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় লন্ডন প্রবাসী বাবা ও ছেলেকে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সুহিতপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী সুন্দর আলী ও তার ছেলে লন্ডন প্রবাসী শিপন মিয়া। সুন্দর আলী গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।
দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের ২৯ জুন ছাতক থানাধীন সৈদেরগাঁওয়ের রুহুল আমিন বাদি হয়ে সুন্দর আলী ও তার তিন ছেলে কিরণ, নয়ন, ও শিপন সহ ৯ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ জেলা সিনিয়র জেলা স্পেশাল আদালতে ক্রিমিনাল ল’ এমেন্টমেন্ট অ্যাক্্ট ১৯৫৮ (৪০) আইনের ৪(১) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ এর বিধি ১৩(৩) ধারায় মামলা করেন। মামলার আরজি মোতাবেক আসামিরা বাদির আত্মীয়স্বজনসহ বাদির উপর বিভিন্ন সময় মামলা করে তাদের পলাতক থাকা অবস্থায় ১২ কোটির অধিক দামের জমি মাত্র ৮০ লাখ টাকায় ক্রয় করে সরকার নির্ধারিত টাকা আত্মসাৎ করেন। অথচ সুন্দর আলী আদালতে জেরার মুখে জমিগুলো ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় ক্রয় করেন বলে উল্লেখ করেন । সুন্দর আলী ওই সময়ে আদালতে জানান, তিনি বাংলাদেশে আয়কর দেন না এবং ভ্যাট দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। পরে এই মামলাটি আদালতের মাধ্যমে দুদক সিলেট অফিসে আসে। দীর্ঘ তদন্তের পর তাকে দুদক গ্রেপ্তার করে।
দুদক সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড. মো. আবুল হাসান জানান, মানি লন্ডারিং মামলার আসামি আরও আছে। আটক দুজনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এই ঘটনার নেপথ্যের তথ্য নেওয়া হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারে দুদক কাজ করে যাচ্ছে।