বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার হতে পারে : অর্থমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট :: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) প্রাকবাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে এই আলোচনায় হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট উপস্থাপন করা হবে আগামী ২ জুন। মেগা প্রকল্প বাজেট ও ক্যাপিটাল বাজেট নামে দুটি আলাদা বাজেট করার চিন্তা আছে। দ্রুত ব্যাংক কমিশন করতে এক সাংবাদিকের পরামর্শের বিপরীতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক কমিশন করার পরিকল্পনা এখন তার নেই। ব্যাংকিং খাতে অনেক ঘটনা-টটনা ঘটে গেছে।
সেখানে যেসব ইনকোয়ারি হচ্ছে, এটার একটু ফল টল দেখা দরকার। তারপর ঠিক করা যাবে, ব্যাংকিং কমিশন করার প্রয়োজন আছে? থাকলে কীভাবে করা যায়? সেটাকে কাস্ট করা যাবে। ভ্যাট থেকে আয় বাড়াতে বিক্রয় মূলে ভ্যাট যুক্ত করে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং ওই ব্যবস্থা কাজও করবে না। আমরা যেটা চেষ্টা করছি, অ্যাকাউন্টিং প্রাকটিস কত বর্ধন করা যায়। এটা হলো ভ্যাটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন উদ্যোক্তা যদি অ্যাকাউন্টিং প্রাকটিসে ইমপ্রুভ করে, তাহলে তার ভ্যাট লায়বেলিটিও কমে যায়। তার নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো। এইটা আমার চিন্তা আছে, একটা পর্যায় পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করে দেওয়া উচিত। দ্যাট ইউ মাস্ট হ্যাভ অ্যাকাউন্টিং মেশিন ইন ইওর বিজনেস, ইফ ইট ইজ অফ আ সার্টেইন লেভেল। এরপর এনবিআর চেয়ারম্যানকে মন্ত্রী বলেন,ওয়ার্ক ইট আউট এনবিআর। এবারই এটা করতে পারি। অ্যাকাউন্টিং মেশিন বলতে মন্ত্রী ইসিআর বোঝাতে চাইছেন কি-না, এমন প্রশ্নে মুহিত বলেন, হ্যাঁ। যেগুলো সব দোকানে টোকানে থাকে। এটাতে একেবারে চুরি (ভ্যাট ফাঁকি) চলে যাবে। যাদের মেশিন থাকে, তারাও কিছু জিনিস মেশিনের বাইরে বিক্রি করে। কিন্তু সেটা ভেরি লিমিটেড।যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে এপ্রিল-মার্চ অর্থবছর অনুসরণ করলেও বাংলাদেশে তা না হওয়ায় এ ব্যবস্থা পরিবর্তনের সুপারিশ করেছিলেন একজন সাংবাদিক। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমলে এপ্রিল-মার্চ অর্থবছরের যে হিসাব চালু ছিল ভারত তা না বদলালেও পাকিস্তান বদলে ফেলে। আর ষাটের দশকে ওই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনবিদরাই সবচেয়ে বেশি উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। বাংলাদেশের ডিমান্ড ছিল, চেইঞ্জ দিস ইয়ার। এই ইয়ারে আমাদের কাজ হয় না। তখনকার দিনে এই ডিস্ট্রিবিউশনে তিন মাস লাগতো। তিনমাসের পর লোকে প্রথম পয়সা পেত। দে হ্যাড টু ডু এভরিথিং বাই ফেব্রুয়ারি। অথ্চ আমাদের ওয়ার্ক সিজন হচ্ছে, মধ্য অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। কাজ কাম করার জন্য এই হলো সময়। অবশ্য এখন কাজ কামের ধরনও বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তি আসার ফলে ওয়েদারের উপর নির্ভরশীলতা অনেক কমেছে। সেই হিসাবে বাঙালিদের দাবি ছিল, অর্থ বছর জুলাই থেকে শুরু হওয়া উচিত। এটা এখনো ভ্যালিড। আই উইল ফাইট টু মাই লাস্ট অফ মাই ব্যাড নট টু চেইঞ্জ ফাইনানশিয়াল ইয়ার। ইট ইজ বেস্ট ফর বাংলাদেশ। এটা আমাদের থাকা উচিত। আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।