ঘুষ নেয়ার অভিযোগ: শেরেবাংলা নগর থানার দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
ডেস্ক রিপোর্ট :: ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক এএসআইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বরখাস্তকৃতরা হলেন এসআই দেবাশীষ ও এএসআই শফিয়ার। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকাস্থ একটি রিক্রুটম্যান্ট এজেন্সির ৩ ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এসআই দেবাশীষ। পরে ৭৫ হাজার আদায় করে ও বাকি টাকার জন্য ৪৫টি পাসপোর্ট আটকে রাখে তারা।
ঘটনার অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার তাদের বরখাস্ত করেন।
তবে শুরু থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস। ঘটনার খবর পাওয়ার পর জাগো নিউজের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ওসি বিষয়টি স্বীকার করেননি।
বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘হোপ হিউম্যান রিসোর্স’ নামে একটি রিক্রটম্যান্ট এজেন্সির ৩ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এসআই দেবাশীষ। রাতেই ওসি বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাদের হয়রানি না করে ছেড়ে দিতে বলি।
ওসিও পরে তাদের ছেড়ে দিতে বলে মানিক মিয়া এভিনিউ চলে যান ডিউটিতে। শনিবার সন্ধ্যায় একজন ফোন করে জানান, শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ ৩ জনকে আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এরমধ্যে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে টাকাও নিয়েছে ৭৫ হাজার। এখবর পাওয়ার গোপনে ব্যক্তিগত তদন্ত শুরু করি।
ডিসি বলেন, তদন্তে জানতে পারি এএসআই শফিয়ারের বাড়ি কুড়িগ্রামে। আর যাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়েছিল তাদেরও বাড়ি কুড়িগ্রামে। আটকের পর পরিবারের মাধ্যমে ভিকটিমরা ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে থাকা শফিয়ারের হাতে ৭৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
বাকি টাকার জন্য ৪৫টি পাসপোর্টসহ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাদের আটকে রেখেছিল। তদন্তে জানা গেছে, এই ঘটনায় ইন্সপেক্টর অপারেশনও জড়িত। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এসআই দেবাশীষ ও এএসআই শফিয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ইন্সপেক্টর অপারেশনের বিষয়টি ডিএমপি কমিশনার জেনেছেন। রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।