সিলেটে ভোটযুদ্ধে এগিয়ে আ.লীগ, প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহীরা
ডেস্ক রিপোর্ট :: রাত পোহালেই প্রথম দফার ইউপি নির্বাচনের ভোটযুদ্ধ। এই ভোটযুদ্ধে অংশ নেবেন সিলেট সদর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ভোটাররা। শেষ সময়ে ভোটাররা হিসেব কষতে শুরু করেছেন জয় পরাজয়ের। সিলেটের বেশিরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও তাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। অন্যদিকে নির্বাচনী মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা অনেকটা নিঃসঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। মান-অভিমান ও গ্রেফতার আতঙ্কে বেশিরভাগ নেতাকর্মী প্রচারণা থেকে দূরে থাকায় বিএনপির প্রার্থীরা প্রচারণায় পিছিয়ে রয়েছেন। তবে তাদের বিশ্বাস প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাদের পক্ষেই নিরব ভোটবিপ্লব হবে।
সিলেটের ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতেই রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। অন্যদিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন মাত্র একটি ইউনিয়নে। এর মধ্যে খাদিমপাড়া ও টুলটিকর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিদ্রোহী প্রার্থীর। খাদিমপাড়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বিলালের জয়ে পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী এডভোকেট আফছর উদ্দিন। একই অবস্থা টুলটিকরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মছব্বিরের। ওই ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম আলী হোসেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে দাঁড়িয়েছেন মছব্বিরের বিরুদ্ধে।
জালালাবাদ ইউনিয়নে লড়াই হতে পারে ত্রিমূখী। এ ইউনিয়নেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আশ্রব আলীর পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মনফর আলী। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব কাজে লাগিয়ে নিজের পক্ষে রায় নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির ইসলাম উদ্দিন। মোগলগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের হিরণ মিয়ার জয়ের পথেও মূল প্রতিবন্ধকতা বিদ্রোহী সামসুল ইসলাম টুনু। কান্দিগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন। আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিনের সাথে শেষ লড়াই হতে পারে স্বতন্ত্রের ব্যানারে প্রার্থী হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল মনাফের।
খাদিমনগরে বিএনপি বর্তমান চেয়ারম্যান দিলওয়ার হোসেনকে মনোনয়ন না দিয়ে প্রার্থী করেছে ইলিয়াস আলীকে। ওই ইউনিয়নে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন আওয়ামী লীগের তারা মিয়া ও বিএনপির বিদ্রোহী দিলওয়ার হোসেন। এছাড়া হাটখোলায় আওয়ামী লীগের খুর্শিদ আহমদ ও বিএনপির আজির উদ্দিন এবং টুকেরবাজারে আওয়ামী লীগের আলতাফ হোসেন ও বিএনপির শহীদ আহমদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এর মধ্যে হাটখোলায় খুর্শিদ আহমদ ও টুকেরবাজারে শহীদ আহমদ এগিয়ে রয়েছেন।
এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে সিলেটে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা। মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সহ সভাপতি আশফাক আহমদের নেতৃত্বে একাধিক নির্বাচনী টিম প্রচারণার কাজ চালিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষে প্রচারণায় ছিলেন জেলা সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম। এ তিন নেতার বাইরে গুরুত্বপূর্ণ অন্য কাউকে প্রচারণায় খুব একটা দেখা যায়নি।