ধানমন্ডির সেই জুনায়েদকে খুঁজছে পুলিশ
ডেস্ক রিপোর্ট :: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ধানমন্ডি লেকের সেই খল নায়ক জুনায়েদকে খুঁজছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কিশোর নুরুল্লার অভিযোগ মামলা হিসেবে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে প্রহারের বিষয়টির তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দৃশ্যটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর নির্যাতনের শিকার যুবকটি সোমবার রাতে ধানমন্ডি থানায় গিয়ে সেই জুনায়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। রাতে ধানমন্ডি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর ই আলম মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকাটাইমসকে জানান, এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই ছেলে থানায় এসে মামলা দায়ের করেছে। আমরা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছি। ইউটিউব হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক যুবকের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার অপর এক যুবকের একটি ভিডিও পোস্ট নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নীল সালু ও পিনাকি ভট্টাচার্যসহ আরও অনেকে ৯ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি শেয়ার করেন। তাদের পোস্টটের নিচে সবাই ওই বখাটে জুনায়েদকে তুলোধুনা করেন ও শাস্তির দাবি জানান।
ভিডিওতে জুনায়েদ নামের ওই যুবক টানা প্রায় ১০মিনিট তার সমবয়সী নুরুল্লাহ নামে এক যুবককে উপর্যুপরি কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। সবার মুখে একই প্রশ্ন কে এই জুনায়েদ?
ভিডিওটির শুরুতে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেয়েকে কেন ওই ছেলেটি ‘খারাপ মেয়ে’ সম্বোধন করেছে সে জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করতে দেখা যায়। যে ছেলেটি উপর্যুপরি মার খাচ্ছিল সে ছেলেটি বার বার বলছিল, সে ওই মেয়েকে কোন খারাপ কথা বলেনি। আসল ঘটনা কি সে জানে না।
জুনায়েদ তাকে তখন গুটিবাজ বলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি মারতে থাকে। মার খাওয়া যুবক তখন বলতে থাকে গুটিবাজি করলে সে এখানে আসতো না। এক পর্যায়ে জুনায়েদ বলে জানিস না আমি পাগল। তখন ওই ছেলেটি বার বার প্রমাণ চায় এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে বারবার অনুনয় বিনয় করলেও মারধর থামায়নি যুবকটি। ঘটনাটি ধানমন্ডি লেকের সামনে থেকে জুনায়েদের এক সঙ্গী রেকর্ড করে। রবিবার ইউটিউব হয়ে সোমবার ফেসবুকে ছড়িয়ে ওই ভিডিওটি রাত ৮টা পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি মানুষ দেখেছে। ভিডিওটি নিয়ে ফেসবুকে নানাধরনের কমেন্ট করা হচ্ছে।
ইলোরা জামান নামে একজন কমেন্টে লিখেছেন ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছিলো আমাদের উত্তরপ্রজন্মের এই অবস্থার জন্য ওরা একাই দায়ী কি’না। কি অসভ্য ইতর এই ছেলেটি। এর পরিবার আসলে কি শিক্ষা দিয়েছে এবং পিতা-মাতা কি এখনো দেখেন নাই এই ভিডিও? আর যে ছেলেটি মার খেলো সে কি কোনো উচ্চবাচ্য করেছে কি’না এ নিয়ে। না করলে কেন করেনি? আর এরকম ফ্রেন্ড, আবার বেস্ট ফ্রেন্ড কিভাবে হয়? কি ভয়ংকর অবস্থা! থ’ মেরে গিয়েছি।
অনেকেই জানতে চেয়েছেন পুলিশ কি জুনায়েদ আল ইমদাদ নামের এই—– কে ধরতে পেরেছে? ভিক্টিম নুরুল্লাহর পরিবার কি মামলা দিয়েছে? আপডেইট দেবেন প্লিজ কেউ জেনে থাকলে। নুরুল্লাহকে নির্দয়ভাবে দশ মিনিট ধরে পিটিয়ে ভিডিও করার দৃশ্যটা মন থেকে কোনভাবেই মুছে দিতে পারছি না।
রাত নয়টায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি নূরে আলম মিয়ার কথা হলে তিনি জানান, মামলার ভিত্তিতে জুনায়েদকে ধরার চেষ্টা চলছে। তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।