চাপে আতিউর, কী হবে মঙ্গলবার
ডেস্ক রিপোর্ট :: যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮শ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে গভর্নর ড. আতিউর রহমানের উপর। সমালোচকরা বলছেন, তার পদত্যাগ করা উচিৎ। গভর্নরের সঙ্গে সঙ্গে ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রীরও পদত্যাগ চেয়েছে বিএনপি।
সূত্র বলছে, সাত বছরের গভর্নরের জীবনে সবেচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এই দশম গভর্নর। গত সাত বছরে নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে গেলেও এতো কঠিন সময় আর দেখতে হয়নি জামালপুরের ছেলে এই গভর্নরকে।
রিজার্ভ চুরির ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় ভীষণ চটেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম। সোমবার মুহিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশও করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে গভর্নরকে ডেকে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, রিজার্ভ চুরির ঘটনার পরও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গভর্নর ভারত যাওয়ায় তাকে নিয়ে সমালোচনা আরো বেড়েছে।
অর্থ লুটের বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে থাকতে বলা হয়েছে গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে। অন্যদিকে, বিকেল ৪টায় ডাকা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা।
সূত্র বলছে, এর আগে বেসিক ব্যাংক নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় অর্থমন্ত্রীর। সে যাত্রায় খুব একটা চাপে পড়তে হয়নি আতিউর রহমানকে। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এ এফ এম আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা মঙ্গলবারের বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করবো।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা থেকে ৮শ কোটি টাকা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি ধামা চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও ফিলিপাইনের একটি সংবাদ মাধ্যমে তা ফাঁস করে দেয়। মূলত ফিলিপাইনের কয়েকটি ক্যাসিনোর মাধ্যমে এ টাকা পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, চুরি যাওয়া অর্থের কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ফিলিপাইনের অর্থ পাচারবিরোধী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে বাকি অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।