‘আমার ও গয়েশ্বরের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে’
কাউন্সিলকে সামনে রেখে একটি চক্র তাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, “দেশ-বিদেশে আমার নাম দিয়ে কাউন্সিলের কথা বলে ০১৭১১১৯০০০৪, ০১৭৬৪৭৪৬৬৬১ নাম্বারসহ কয়েকটি নাম্বার থেকে ফোন করে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এর আগে আমাদের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নাম ব্যবহার করেও চাঁদা চাওয়া হয়েছে।”
আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “কারো কাছে যদি ওই নাম্বারগুলো থেকে ফোন আসে তাহলে আপনারা তাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দিন।” ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বাড়ি-ঘরে ক্ষমতাসীনরা হামলা চালাচ্ছে অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।
রিজভী বলেন, “কেন্দ্রীভূত স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভু শেখ হাসিনা, কথা বলার স্বাধীনতাকে শিকল পরিয়েছেন, যারা সত্য অকপটে উচ্চারণ করেন তাদেরকে অপরাধী সাজিয়ে তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী তকমা দাগিয়ে দিচ্ছেন। গণতন্ত্রকে কালাপানিতে পাঠিয়ে একক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে হাসিনার নির্দয় একদলীয় শাসনের সুঁচ ফোটাচ্ছেন জনগণের শরীরে অবিরতভাবে, যাতে তারা প্রবল অপশাসনকে উল্টে দিতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। অবরুদ্ধ পরিবেশেও যতটুকু কথা বলা যায়, সেটিকেও উচ্ছেদ করার জন্য নতুন কালো আইন তৈরি করার খসড়া প্রস্তুত হচ্ছে বলে আমরা জেনেছি। তাই আওয়ামী লীগের শাসন মানেই সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ী-জমি এমনকি আহার পর্যন্ত কেড়ে নেয়া। ‘৭২ থেকে ‘৭৫ তারা যে দেশে রক্ত স্রোত বইয়ে দিয়েছিল, আবার একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে আরো বেশি দুর্মতি নিয়ে সেটি ফিরে এসেছে। অপকীর্তি ও অকল্যাণের পথে হেঁটে গেলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবেই। দেশ এখন তাই বিভীষিকাময় নৈরাজ্যের প্রতিক্রিয়ায় সমাচ্ছন্ন।”
রিজার্ভের টাকা চুরি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “ভোটারবিহীন কলঙ্কজনক নির্বাচনের সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রীর কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যে পুরো জাতি আজ স্তম্ভিত। রিজার্ভের অর্থ কারো পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ নয়। আমাদের রক্তপানি করা প্রবাসী শ্রমিকদের কষ্টার্জিত অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ হিসেবে সংরক্ষিত হয়। বেসিক ব্যাংক, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকসমূহ এবং পূঁজিবাজারের অর্থ লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে সরকারের কোনো কঠোর অবস্থান না থাকার ফলে আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও হলো লুণ্ঠনের শিকার।”
রিজভী অভিযোগ করেন, “সবচেয়ে দেরি করে সবচেয়ে ছোট জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আমাদের কাউন্সিলের জন্য। বিএনপি’র মতো দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের পক্ষে এতো ছোট পরিসরে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করা খুবই দুরূহ ব্যাপার। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের স্বাচ্ছন্দে বসার জন্য বরাদ্দকৃত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ঢাকা-রমনার চৌহদ্দি’র পার্শ্ববতী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটি অংশ বরাদ্দ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবারও অনুরোধ করছি।