সিলেটের ১২ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ১৩ জন
ডেস্ক রিপোর্ট :: ইউনিয়ন পরিষদের ১ম এবং ২য় ধাপের নির্বাচনে সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে দল মনোনিত প্রার্থী লড়ছেন। তবে তাদের পাশাপাশি একই আদর্শের ১৩ জন রয়েছেন বিদ্রোহী হিসেবে।
সিলেট জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে প্রার্থী হয়েছে দলের তৃণমূল নেতারা। জেলার ৩টি উপজেলায় দু’দফায় অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিদ্রোহী হিসেবে লড়ছেন ডজনখানেক প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের প্রভাব থাকায় তাদেরকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীরা।
ভোটারদের প্রাথমিক জরিপে অনেক ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়ের পাল্লায়ও এগিয়ে রয়েছেন। যদিও আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা মনে করেন, সরকারের উন্নয়নের ধারায় যোগ দিতে ভোটাররা তাদেরকেই নির্বাচিত করবেন।
সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ১ম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউনিয়নের মধ্যে খাদিমপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আফসর আহমদ, টুলটিকর ইউনিয়নে জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি এস এম আলী হোসেন, জালালাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা মনফর আলী ও শামছুল ইসলাম বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- রুস্তমপুর ইউনিয়নে আব্দুল মতিন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে লুৎফুর রহমান লেবু ও আলীরগাও ইউনিয়নে আবুল কাশেম মো. আনোয়ার শাহাদত।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নে গেদা মিয়া, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে ইলিয়াছুর রহমান, তেলিখাল ইউনিয়নে আব্দুল হক ও কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু, উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে ফরিদ উদ্দিন এবং দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নে এম. হান্নান।
বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা ভোটে প্রভাব ফেলবেন কি-না জানতে চাইলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান- নৌকা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আমরা তৃণমূলের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী নির্ধারণ করেছি। তাই নৌকার বিজয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর কোনো প্রভাব পড়বে না।
তিনি আরো বলেন, দলীয় মনোনয়ন প্রদানের সময় আমরা বলেছিলাম যারা নৌকা প্রতীক পাবেন না তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকেন। তারপরও কেউ যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকেন তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তারা অভিযুক্ত হবেন।
খাদিমপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আফসর আহমদ বলেন, আমি নিজেকে বিদ্রোহী প্রার্থী মনে করি না। আমি ইউনিয়নবাসী ও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া সঠিক না হওয়ায় সাধারণ ভোটার ও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে নির্বাচনে লড়তে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ইউনিয়নবাসী আমাকে নির্বাচিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস।