ভাসানী বললেন, মুজিবের নির্দেশে দেশ চলবে
অহী আলম রেজা
১৯৭১ সালের ৯মার্চ। উত্তাল সারা দেশ। আলোচনার নামে তালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্টী। এদিকে চূড়ান্ত স্বাধীনতার ডাকের অপেক্ষায় পুরো জাতি। প্রতিদিনই সভা সমাবেশ মিছিল মিটিং চলছে। এই দিনে সংবাদপত্রে সামরিক কতৃপক্ষের এক প্রেসনোট প্রকাশিত হয়। এতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে জনতার সঙ্গে সশস্ত্রবাহিনীর সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করা হয়। জনতার হাতে সশস্ত্র বাহিনীর একজন অফিসারসহ কয়েকজন নিহত ও কিছু সংখ্যক আহত হওয়ার কথা স্বীকার করা হয়। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাকিস্তাানি সৈন্য নিধন শুরু হয়। আওয়ামীলীগ নেতা তাজউদ্দীন আহমদ প্রেসনোটের বিবরণ ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেন। তিনি বলেন নিরীহ জনগণের ওপর সশস্ত্রবাহিনীর গুলিতে শত শত লোকের মৃত্যু ও আহত হওয়ার কথা স্বীকৃতি পায়নি।
অবাঙালি ও বিহারিরা বাংলাদেশ ছাড়তে শুরু করে। কিন্তু কোন বাঙালিকে পশ্চিম পাকিস্তাান থেকে আসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিদেশি নাগরিকরাও এ দেশ ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষনে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে দেশ ও দেশের বাইরে। ঐতিহাসিক এ ভাষনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন খান এ সবুর, আতাউর রহমান খান, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ প্রমুখ। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে জঙ্গি মিছিল বের করে।
মওলানা ভাসানী বলেন, মুজিবের নির্দেশ মতো দেশ চলবে। আমি মুজিবকে ভালো করে চিনি। তার রাজনীতির হাতেখড়ি আমার হাতে। শেখ মুজিবকে আমি আমার তিন পুত্রের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। আমার রাজনৈতিক জীবনে ৩১ জন সেক্রেটারির সঙ্গে কাজ করেছি তার মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানই শ্রেষ্ট । তিনি পশ্চিম পাকিস্তানি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা তোমাদের শাসনতন্ত্র প্রনয়ন কর, আমরা আমাদের জন্য শাসনতন্ত্র প্রনয়ন করি।