গোলাগুলি আর সহপাঠিকে ছিনতাই করে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ‘পালন’!

Chhatroleage Sylhet 07-03-2016ডেস্ক রিপোর্টঃ কোনভাবেই যেনো নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না এমসি কলেজ ছাত্রলীগকে। বারবার নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের টিলাগড়কেন্দ্রীক এই অংশ।
বাদ যায় নি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। যেখানে সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, সেখানে এমসি কলেজ ছাত্রলীগ ব্যস্ত নিজেদের মধ্যে সংঘাত আর গোলাগুলিতে। যেনো গোলাগুলি করেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের এই দিনটি ‌’পালন’ করলো এমসি কলেজ ছাত্রলীগ।
টিলাগড়ে ছাত্রলীগের বিরোধ নতুন কোনো ঘটনা নয়। পুরোনো বিরোধ থেকে বারবারই সংঘাতে জড়িয়েছে এখানকার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। তবে বাঙালির মুক্তির সনদের দিনটিতেও ছাত্রলীগের তাণ্ডবে বিব্রত ছাত্রলীগের নেতারাই।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলিও বিনিময় হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী ও সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তবে নিপু গ্রুপের কর্মীদের দাবি, রায়হান গ্রুপ তাদের উপর গুলি চালায়। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রায়হান।
এই সংঘর্ষে আহত শাহিন আহমদ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার্থে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আর পুলিশ তাজ উদ্দিন ও সাফায়েত হোসেন নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে।
এই গোলাগুলি আর সংঘাতের ফাকে নিজ দলীয় কর্মীর হাতে ছিনতাইর শিকার হয়েছেন এমসি কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী রাজিব আহমদ। রাজিব এমসি কলেজের রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। জানা যায়, সোমবার এমসি কলেজে মৌখিক পরীক্ষা দিতে যান মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী ও রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রাজিব আহমদ। পরীক্ষা শেষ করে বের হওয়ায় সময় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষ দেখে কলেজে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেন রাজিব। সেখানে তার সহপাঠী আরেক ছাত্রলীগ কর্মী প্রীতম ১০-১২ জনকে নিয়ে তার মাথায় ছুরিকাঘাত করে তার সাথে থাকা দুটি মোবাইল ও ৭০০০ টাকা ও জুতা নিয়ে যায়। পরে প্রীতম রাজিবকে মোবাইলের লক খুলে দিতে বলে, তখন রাজিব লক কুলে দিতে না চাইলে প্রীতম রামদা দিয়ে তার পায়ে আঘাত করে চলে যায়।
বর্তমানে রাজিব আহমদ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসাধীন আছেন।
৭ মার্চে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু বলেন, সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের মদদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী ও তার অনুসারীরা জায়গা-জমি দখল করতে করতে এখন কলেজ দখল শুরু করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী বিকাশ চন্দ্র সাহা কলেজে প্রবেশপত্র আনতে গেলে নিপুর ক্যাডাররা তাকে মারধর করে। এ খবরে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে গিয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়।
তিনি বলেন, আমার নিজস্ব কোন গ্রুপ নেই। আমি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক।