সিলেটে টিলাকেটে বানিজ্যমেলা : ধ্বংসের মূখে পরিবেশ
ডেস্ক রিপোর্টঃ আদালতের নির্দশনা অগ্রাহ্য করে সিলেটে চলছে পরিবেশবিধ্বংসী মেলার জমজমাট আয়োজন। কেটে ফেলা হচ্ছে গাছবৃক্ষাদি। পাশপাশি টিনের বেড়া দিয়ে আড়াল করে কর্তন করা হচ্ছে পাহাড় ও টিলা। মেলার মাঠ ও স্টল সম্প্রসারনের জন্য করা হচ্ছে পরিবশেবিধ্বংসী এ সব কর্মকান্ড। মেলার নেপথ্যে শাসকদলের নেতা-হোতারা থাকায় নিরব দর্শকের ভুমিকায় পরিবেশ অধিদপ্তসহ স্থানীয় প্রশাসন। নগরীর প্রতিষ্টানবহুল শাহী ঈদগাহ এলাকার একটি স্কুল মাঠে আয়োজন করা হয়েছে এ বানিজ্য মেলার। সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার নামে এ মেলার আয়োজন করেছে। আগামী ৯মার্চ থেকে এ মেলা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর এ মেলার ম্যানেজমেন্ট-এর দায়িত্বে রয়েছেন প্রতারনা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী এম এ মঈন খাঁন বাবলু ওরফে মেলা বাবলু।
অভিযোগে প্রকাশ, সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ একটি জন ও প্রতিষ্টানবহুল এলাকা। এলকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজ,মেডিকেল প্রশিক্ষনকেন্দ্র হাসপাতাল ও কিনিক। এ এলাকায় মেলার আয়োজন সামাজিক বিশৃংখলার সৃষ্টি করে থাকে। ইতোপূর্বে এ এলাকায় মেলার আয়োজন করা হলে নানাবিধ সামাজিক বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। পবিত্র ও ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ এলাকার মসজিদ-মাদ্রাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্টানে উপাসনা ও ধর্ম-কর্মপালনে বিঘœ সৃষ্টি করে এ মেলা। মেলার পাশপাশি অশ্লীল গান-বাজনায় বিনষ্ট হয় এলাকার সামাজিক পরিবেশ। তাই এলাকার ধর্মপ্রান ও শিক্ষানুরাগী মানুষজন এ মেলার প্রতিবাদ করে আসলেও প্রতিকার পান নি তারা। গত বছরের ন্যায় এবারো আয়োজন করা হয়েছে সমাজ ও পরিবশে বিধ্বংসী এ মেলার। মেলার মাঠ সম্প্রসারনে চলছে পুরোদমে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড। বৃক্ষ ও লতাপাতায় ঘেরা নির্মল ও সবুজ পরিবশের শাহী ঈদগাহ এলাকায় চলছে বৃক্ষ নিধনযজ্ঞ। এক মাসের এ মেলার জন্য স্থায়ীভাবে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছপালা। পাশাপাশি কেটে সমতল করে দেয়া হচ্ছে মেলার পার্র্শ্ববর্তী টিলা ও পাহাড়। ভুমিকম্প প্রবন সিলেটে পাহাড় ও টিলা কর্তন মানব জীবনের জন্য অথ্যাধিক ঝুকিপূন হলেও এটা মানছেনা মেলা কর্তৃপক্ষ। তাদের প্রয়োজন শুধু টাকার। তাই তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই ধ্বংস করে চলেছেন পরিবেশ ও প্রতিবেশ। ইতোমধ্যে মেলামাঠ এলাকায় শতাধিক গাছ বৃক্ষ কর্তন করে ফেলা হয়েছে। বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর বদলে মেলার জন্য পালন করা হচ্ছে বৃক্ষনিধন ও পাহাড় টিলা কর্তন কর্মসূচী। এলাকার সাধারন মানুষ এর প্রতিবাদ করলে তাদের দেখানো হচ্ছে হামলা-মামলার ভয়ভীতি। ফলে মেলার আযোজকদের কাছে জিম্মি নগরীর শাহী ঈদগাহবাসী। এলাকাবাসী জানান বিগত মেলা আয়োজনের পর এক বছরেও মাঠ পরিস্কার করা হয় নি, এখনো গত বছরের ইট মাঠে রয়েছে বিগত একটি বছর ছেলেরা খেলাধুলা করতে পারেনি এই মাঠে। এলাকবাসী পরিবেশ ও প্রতিবেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ ও দ্রুততর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
মেলা ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত এম এ মঈন খাঁন বাবলু ওরফে মেলা বাবলু সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে ফোন রিসিভ করে কথা বলেন, এক পর্যায়ে সংবাদিক পরিচয় দিয়ে টিলা কাটার কথা জিজ্ঞাস করা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন রেখে দেন, পরে আবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।