পরিবারের ১৪ জনকে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা
ডেস্ক রিপোর্টঃ পরিবারের ১৪ জনকে হত্যা করেছে নিজেই আত্মহত্যা করলেন নিজেও । ভারতের মহারাষ্ট্রে থানে জেলার কাসরভাদাবলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে থানে জেলার কাসরভাদাবলি গ্রামের এক বাড়ি থেকে ওই ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আরেক নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়,খুন হওয়া ১৪ জনের মধ্যে সাতটি শিশু ও ছয়জন নারী। যাকে খুনি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তার নাম হাসান আনওয়ার ওয়ারেকর (৩৫)।
নিহতদের মধ্যে হাসানের স্ত্রী, তিন বোন, দুই সন্তান ও মা-বাবাও রয়েছেন। এনডিটিভি লিখেছে, সবাইকে বিষ বা চেতনানাশক খাইয়ে পরে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের ধারণা।
হাতে ছুরি ধরা হাসানের লাশ ওই বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ঝুলন্ত অবস্থায়। থানে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আশুতোষ দুমরেকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার লিখেছে, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
তিনি জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে হাসান ভেতর থেকে দড়জা বন্ধ করে দিয়ে তিনটি ঘরে এই হত্যাকাণ্ড চালয় এবং পরে নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আহত্মহত্যা করে। ভাগ্যক্রমে হাসানের বোন সুবিয়া গলায় মারাত্মক ক্ষত নিয়েও বেঁচে যান এবং তার চিৎকার শুনেই প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে,হাসান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। তিনিই পুরো পরিবার চালাতেন। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে হাসানের বোনোর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলে আশুতোষ দুমরে জানান।