উপজেলা ও পৌর নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেছেন- দলের ভেতরে আর কোন বিভেদ নয় ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গঠনই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। জেলা বিএনপিতে কোন বলয়ের স্থান নেই। আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বিএনপি শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। সকল প্রকার গ্রুপিং কোন্দলের অবসান ঘটিয়ে একটি শক্তিশালী সিলেট জেলা বিএনপি গঠনে আমাদের অঙ্গিকার বাস্তবায়ন থেকে আমরা এক চুলও নড়ব না। একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল কাউন্সিল উপহার দেয়ায় সকল কাউন্সিলার ও জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। দেশ ও জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করার মিশন হলো আওয়ামী ফ্যাসীবাদি সরকারকে ক্ষমতা হঠিয়ে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। কাংখিত লক্ষে না পৌছা পর্যন্ত আমাদের মিশন অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী আদর্শের সকল সৈনিকদের অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির কাউন্সিল পরবর্তী করনীয় নির্ধারন ও চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন উপলক্ষে সিলেট জেলার সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সকাল ১১টায় নগরীর সোবহানীঘাটস্থ আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন ও মনোনীত প্রার্থীদের বিজয় ত্বরান্বিত করতে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল হক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুল গাফ্ফার, সাবেক এমপি আবুল কাহির চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, জেলার সাবেক সহ-সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান আহমদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, ইফজালুর রহমান, আহমেদুর রহমান মিলু, চেরাগ আলী, নজরুল ইসলাম ময়ুর, জিয়াউল বারী চৌধুরী শাহীনুর, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন, মাহবুবুর রহমান বাবু, বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজ মিয়া, সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবীব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক শামীম আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান ফয়েজ, বালাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি গেদাই মিয়া, সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ছালিক আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সুফিয়ানুল করিম, সাধারন সম্পাদক তছলিম আহমদ নেহার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন সাহেদ, ওসমানীনগর উপজেলা সভাপতি সৈয়দ মোতাহির আলী, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান মানিক চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সাধারন সম্পাদক জিলাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, গোলাপগঞ্জ পৌর সভাপতি মশিউর রহমান মহি, সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম আহমদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল, সাংগঠনিক নজরুল খান, বিয়ানীবাজার পৌর সভাপতি আবু নাসের পিন্টু, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান রুমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, কানাইঘাট পৌর সভাপতি শরীফুল হক, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান ডিপজল, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হোসেন বুলবুল, জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হেলাল আহমদ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক শফিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ, জকিগঞ্জ পৌর সাধারন সম্পাদক আব্দুস শাকুর, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, জৈন্তাপুর উপজেলা সভাপতি এনায়েতুল্লাহ, সাধারন সম্পাদক মো: আব্দুল হাফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা সভাপতি উসমান গনী, সাধারন সম্পাদক শাহ আলম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল আহমদ ও যুগ্ম সম্পাদক আলী আকবর প্রমুখ।
সভার শুরুতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট শহীদ আলী, সাবেক এমপি খন্দকার আব্দুল মালিক, সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান, সাবেক এমপি বেগম ফাতেমা চৌধুরী, বিএনপি নেতা এহিয়া রেজা চৌধুরী, ফতেহ ইউনুস খান, দেওয়ান তৈমুর রাজা চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম শিশু, মকবুল আলী, সাইফুল ইসলাম বাবুল, কমর উদ্দিন আহমদ, বিমলেন্দু দাস (সাধু বাবু), আব্দুল আহাদ ময়না মিয়া, মোহাম্মদ উসমান মিয়া, আব্দুস সোবহান, তৈমুর খান বাদশাই, আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, তালাত আজিজ, বশির আহমদ, শাহের কুতুব, সরকুম আলী, আব্দুর রকিব, মোহাম্মদ ছমির উদ্দিন, বিলকিছ জায়গীরদার, শামসুল ইসলাম, আলহাজ্ব তজম্মুল আলী চৌধুরী, আব্দুল খালিক মাস্টার, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বাবু সুধীর নারায়ন, ডা: নুরুল ইসলাম, ডা: জমির উদ্দিন, মোহাম্মদ শরীফ বখত্, আব্দুর রহমান বাছা মিয়া, আলাউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ খলকু মিয়া, মোহাম্মদ আজাদ সহ প্রয়াত নেতৃবৃন্দের স্মরনে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বসম্মসতিক্রমে বেশকিছু জরুরী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনার আলোকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতাকর্মীদেরকে বিএনপি নির্ধারিত ফরম স্বস্ব উপজেলা কমিটির কাছ থেকে সংগ্রহ করে তা পুরন করে তাদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। উপজেলা কমিটি প্রয়োজনীয় ফরম জেলা বিএনপির কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন। তৃনমুল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে। দল মনোনীত প্রার্থীর বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। কোন নেতাকর্মী যদি দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কিংবা দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্থিমুলক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।