বাহুবলে চার শিশু হত্যা: লাশ উদ্ধার ও জনাজায় অংশ নেয় আসামিরা
ডেস্ক রিপোর্ট :: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু নিখোঁজের পাঁচ দিন পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারে পুলিশের সঙ্গে এলাকার লোকজনও সহযোগিতা করেছে। এ সময় লাশ উদ্ধারে অংশ নিয়েছিলেন আসামিরা। শুধু তাই নয় নিহতদের জনাজায়ও অংশ নিয়েছিলেন তারা। আসামি রুবেলের বড় বোন খেলা বেগম সিলেটভিউ২৪ডটকমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
খেলা বেগম বলেন, ‘নিহত শুভের মা পারুল আক্তার তাদের চাচাতো বোন। এই সুবাদে শুভরা নিখোঁজের পর থেকে তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। এছাড়াও তাদের লাশের সন্ধান পাওয়ার পর তার ভাই রুবেল (মামলার আসামি) লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। পরে রুবেল ও তার বাবা আবদুল আলী জানাজায়ও অংশ নেন। এরপর হঠাৎ করেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার নুরানি প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। তারা একে অপরের চাচাতো ভাই।
নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি ক্ষেত থেকে মাটিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সুন্দ্রাটিকির গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আলী (৬০), তার ছেলে জুয়েল (২০), রুবেল (১৮), একই গ্রামের বাসিন্দা আরজু (৪০), বশির (২৪) ও সালেহ আহমদ নামে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদের মধ্যে আসামি রুবেল গত শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, ‘পঞ্চায়াতের বিরোধকে কেন্দ্র করেই নেতা আব্দুল আলীর নির্দেশে ছয় জন মিলে চার শিশুকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশগুলো বস্তাবন্দি করে সিএনজি চালক বাচ্চুর গ্যারেজে দুই দিন রাখার পর মাটিতে পুতে ফেলেন তারা।’ তবে রুবেল ভয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার বোন খেলা বেগম ও তার মা হালিমা খাতুন।