কাস্তে দিয়ে ধর্ষকের অণ্ডকোষ কেটে দিলেন নিগৃহীতা
ডেস্ক রিপোর্টঃ এমন ভয়ানক পরিনতির কথা শুনলে আঁতকে উঠবে যে কোন ধর্ষকের অন্তরাত্মা । দুষ্কর্মের এমন শাস্তি যদি হাতে নাতেই দেয়া যায় তবেই এমন অপকর্মের দৌরাত্ম্য কমবে বলে আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
এমনি একটি পিলে চমকে দেয়া ঘটেছে এবার । এই সময়ে প্রকাশিত সংবাদ সুত্রে, ভগ্নিপতির আশ্রয়ে বউ-ছেলেমেয়েকে রেখে দূরে কাজে গিয়েছিলেন লোকটি। আর সেই ভগ্নিপতি কি না তার অনুপস্থিতির সুযোগে প্রায়ই শ্লীলতাহানি করত স্ত্রীকে। তবে প্রতিশোধ নিলেন ঠিকই নির্যাতিতা। দুষ্কৃতকারীর অণ্ডকোষে কোপ দিলেন গৃহবধূ। অপমানে আত্মহত্যা করেছে ধর্ষক।
‘স্বামীর বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে আমাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে। শেষপর্যন্ত আমি আর থাকতে পারিনি। কাস্তে দিয়ে তার যৌনাঙ্গ কেটে দিয়েছি। একমাত্র এই একটা উপায়ে তাকে আটকানো সম্ভব ছিল’ বলেন নির্যাতিতা।
ভগ্নিপতির আশ্রয়ে বছর বত্রিশের স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে নাসিকে কাজে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার চুরহাট অঞ্চলের ওই শ্রমিক। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রবল আপত্তি করা সত্ত্বেও অসহায় গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে আশ্রয়দাতা।
অবশেষে মহিলার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। এক রাতে যৌনমিলনের উদ্দেশে ফের ঘরে ঢুকলে কাস্তে দিয়ে দুষ্কৃতীর অণ্ডকোষ কেটে দেন নিগৃহীতা। তারপর ভগ্নিপতির ছিন্ন অণ্ডকোষ হাতে তিন সন্তানকে নিয়ে উপস্থিত হন স্থানীয় থানায়।
মহিলাকে ওই অবস্থায় থানায় ঢুকতে দেখে চমকে ওঠেন পুলিশকর্মীরা। নিজের অপরাধ স্বীকার করে গৃহবধূ জানান, আত্মরক্ষার তাগিদেই ধর্ষকের গোপনাঙ্গে আঘাত হেনেছেন।
ধর্ষকের মৃতদেহ
মারাত্মক জখম ব্যক্তিকে সাহায্য করতে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের মেডিক্যাল টিম। কিন্তু ততক্ষণে অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়ির কাছে এক গাছের ডাল থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সেই ভগ্নিপতি। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করেছে।
সিধি-র এসপি আবিদ খান জানিয়েছেন, হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, ‘ঘটনাটি বিরলতম। সঠিক চার্জশিট তৈরি করতে বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন।’
এদিকে দুষ্কৃতীর মৃত্যুতে নির্লিপ্ত রয়েছেন ওই মহিলা। ঘটনার জেরে তার মনে কোনো অনুশোচনা নেই। পুলিশ জানিয়েছে, তার মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল।