ঢাকায় কারিনার কনসার্ট স্থগিতের আসল কারণ কী?

kareena jalilডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য ‘ক্লিন ঢাকা কনসার্ট’ স্থগিতের কারণ নিয়ে আয়োজক ও পুলিশের দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে।
আয়োজনের দায়িত্বে থাকা অন্তর শোবিজ বলছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশের পরামর্শে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তা নয়, তারা আয়োজকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কথা বলেছিলেন।
পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে ‘ক্লিন ঢাকা’শিরোনামের এই কনসার্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পা রাখার কথা ছিল বলিউড তারকা কারিনার।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের এই কনসার্টে কারিনার সঙ্গে ভারত থেকে কণ্ঠশিল্পী কানিকা কাপুর ও জাভেদ আলিরও আসার কথা ছিল। বাংলাদেশের অভিনেতা অনন্ত জলিলেরও অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
আয়োজিত এই কনসার্টের তিন ধরনের টিকেট এক হাজার, দেড় হাজার ও তিন হাজার টাকায় বিক্রিও হয়েছিল।
Ticket-Concertতবে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘কনসার্টটি স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।’
কী কারণে কনসার্ট স্থগিত হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
এরপর রাতে অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছিলাম। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে কারিনা আসার কথা ছিল। তবে মহানগর পুলিশ নিরাপত্তার কথা বলে অনুষ্ঠানটি পরবর্তীতে করার পরামর্শ দিয়েছেন।’
তিনি আরো জানান, ‘কারিনাকে সন্ধ্যায় জানিয়েছি, শো ক্যান্সেল হযেছে। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে নতুন তারিখ ঠিক করা হবে।’
কনসার্ট পরে করলেও যারা টিকিট কিনেছেন, তারা ফেরত দিতে চাইলে সমান দামে তা নেওয়া হবে বলে জানান স্বপন। অন্তরের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উপ-কমিশনার শেখ মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে তাদেরকে (অন্তর শোবিজকে) কিছু বলা হয়নি। তাদের কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার প্রচণ্ড অভাব ছিল। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে যেহেতু একটা বড় ইভেন্ট আয়োজন করছেন, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করুন।’
সমন্বয়হীনতা ছিল কি না-জানতে চাইলে স্বপন বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কিছুটা থাকতে পারে। তবে সবকিছু আমরা ইতিবাচক হিসাবে দেখি।’