১৫ ঘণ্টা মর্গে, কবর দেওয়ার আগে কেঁদে উঠল শিশু!
ডেস্ক রিপোর্টঃ ডাক্তার বলে দিয়েছেন, ‘প্রাণ নেই’! তার পর ১৫ ঘণ্টা ছিল মর্গে। আর ওই মর্গের তাপমাত্রা ছিল শূন্যের ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে। সকাল হতে যখন তাকে কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ঠিক সেই সময়েই হঠাৎ ধুকপুক করে উঠল সেই একরত্তি দেড় মাসের শিশু কন্যার বুক। তার দেহে প্রাণ ফিরে এল! কোনও কল্প-কথা নয়। একেবারে সত্য ঘটনা। শুক্রবার পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের পানানে এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছে। কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেল ওই খবর দিয়ে জানায়, কবর-স্থানের কর্মীরা যখন ওই শিশুটিকে কবর দেওয়ার তোড়জোড় করছিলেন, তখন হঠাৎই সেই শিশুটি কেঁদে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে তারা খবর পাঠান শিশুটির বাবা, মাকে। তারা ছুটতে ছুটতে আসেন। শিশুটিকে নিয়ে যান একটি হাসপাতালে। সেখানে তাকে রাখা হয় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শিশুটিকে দেখে চোখ একেবারে ছানাবড়া হয়ে গেছে পানান হাসপাতালের ডাক্তারদের। এক চিকিৎসক বলেন, ‘আমি জীবনে কখনও এমন ঘটনার কথা শুনিনি। মিরাকেল!’ জানুয়ারি মাসে এই হাসপাতালেই জন্মেছিল শিশুটি। জন্মের সময়েও কিছু শারীরিক ত্রুটি ছিল বলে টানা ২৩ দিন সদ্যোজাতকে রাখা হয়েছিল ইনকিউবিটারে। হৃদ-স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিশুটিকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। তবে মর্গে পাঠানোর আগে তাকে মোটা দু’টো কাপড়ে মুড়ে দিয়েছিলেন তার বাবা। হয়তো সেটাই মর্গের হাড়-জমানো ঠাণ্ডার হাত থেকে কিছুটা বাঁচিয়েছিল শিশুটিকে! এমনটাই মনে করছেন ডাক্তাররা।