মন্ত্রীদের দুটি সমস্যা : কম লেখাপড়া ও টাকা খাওয়া
ডেস্ক রিপোর্টঃ মেট্রোরেল চালু হলে শব্দ দূষণ থেকে মুক্ত থাকবে রাজধানীবাসী। এ অভিমত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের প্রথম সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে রাজধানীতে ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়ত করবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৬টি স্টেশন নির্মাণ করে যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই অভিযোগ করছে মেট্রোরেলে শব্দ দূষণ হবে। এ ধরনের অভিযোগ অমূলক। আমার অবাক লাগে ৩ বছর আগে এ প্রকল্পের এলাইমেন্ট হলো, টেন্ডার হলো হঠাৎ তিনবছর পর এ মেট্রোরেলে শব্দ দূষণের অভিযোগ। তখন কোনো আপত্তি তারা করলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা যান চলাচল করে তখন সমসা হয় না। মেট্রোরেল গেলে সমস্যা হবে।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল রাজধানীতে চলাচল করলে কোনো শব্দ দূষণ হবে না। শব্দ দূষণ কমে যাবে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। তাই চলাচলের সময় কোনো শব্দ দূষণ হবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চলতি বছরের শেষ নাগাদ আরো দু’টি রুটে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ দু’টি রুটের একটি হবে গাজীপুর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার ও অপরটি রাজধানীর গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা পর্যন্ত। এ দু’টি মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি চলতি বছরেই শুরু হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পদ্মসেতুর ৩৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মসেতু ও সেতুর পাশে রেলসেতু দুইটিরই কাজ শেষ হবে।’
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা যদি সঠিক পথে চলে তাহলে অন্যরাও সঠিক পথে চলবে। মন্ত্রীদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। তারা যদি টাকা মাল পানি খায় তাহলে মন্ত্রণালয়ের কাজও চলবে না। মন্ত্রীদের দুইটি সমস্যা এক লেখাপড়া কম ও আরেকটি টাকা খায়। এ কারণে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না। আমার মন্ত্রণালয়কে আমি এসব থেকে বের করাতে পেরেছি।’