চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক হলেন পদকপ্রাপ্ত এএসআই
ডেস্ক রিপোর্টঃ একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ নীলফামারীতে আটক হয়েছেন পুলিশের এএসআই জাবেদ আলী পিপিএম।
রোববার দুপুরে তাকে নীলফামারীর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে আটক করা হয়।
এএসআই জাবেদ আলী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত। তিনি পঞ্চগড় জেলা সদরের পানিমাছ পুকুরী মাহানপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, নীলফামারী শহরের কলেজপাড়া মহল্লার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে দুটি মোটরসাইকেল চুরি যায়। এ ঘটনায় পরের দিন শনিবার নীলফামারী থানায় মামলা করা হয়।
ব্যাংক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি রোববার দুপুর দেড়টার দিকে খবর পান তার বাড়ির চুরি যাওয়া দুইটি মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে এক ব্যক্তি ডোমার সড়ক দিয়ে সৈয়দপুরের দিকে যাচ্ছেন।
এ অবস্থায় বিষয়টি নীলফামারী থানায় অবগত করে শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ব্যারিকেড দেয়া হয়। সেখানেই ওই ব্যক্তিকেসহ চুরি যাওয়া ১৫০ সিসি ট্রিগার নামের মোটরসাইকেলটি আটক করা হয়।
তবে অপর চুরি যাওয়া ১৩৫ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায়নি।
এদিকে নীলফামারী থানায় নিয়ে আসার পর পুলিশ আটককৃত জাবেদ আলীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে তিনি পুলিশ বিভাগের সদস্য এবং গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার এএসআই হিসেবে কর্মরত।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য যে ১০৫ জন পুলিশ সদস্য প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) লাভ করেন, জাবেদ আলী তাদের মধ্যে একজন।
চোরাই মোটরসাইকেল সর্ম্পকে তিনি জানান, তার বাড়ি পঞ্চগড়ে। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। তার এক আত্মীয় মোটরসাইকেলটি বিক্রির কথা বললে সেটি তিনি ক্রয় করেন। এজন্য কিছু টাকাও পরিশোধ করেছেন। কাগজপত্র বুঝিয়ে দিলে বাকি টাকা পরিশোধের কথা হয়।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরে ওই মোটরসাইকেলযোগে নীলফামারী শহরের মূল সড়কে আমার কর্মস্থল গোবিন্দগঞ্জে যাচ্ছিলাম। এ সময় নীলফামারী শহরের স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে লোকজন আমাকে থামতে বল। আমি থেমে তাদের কথায় বুঝতে পারি এটি চোরাই মোটরসাইকেল।’
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান পাশা জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আটক এএসআই জাবেদ আলীর কথামত তাকে নিয়ে বিকালে পুলিশের একটি দল পঞ্চগড়ে অভিযানে গেছে।