জেলা কমিটির সভা ছাড়াই কুলাউড়া আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার!
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক ৩ বারের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমানকে শনিবার বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামীলীগ। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সলমানকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি এবং অস্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তবে এবিষয়ে জেলা কমিটির কোন সভা ছাড়াই একতরফা সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কয়েকজন সিনিয়র নেতা। শুক্রবার কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর উপর হামলার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ ফিরোজ ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশহুদ আহমদের কাছে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান জেলা কমিটিতে সভা করে আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের কোন সিন্ধান্ত হয়নি। কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়া আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়ে এবং জেলা কমিটিতে সভা না করে এ ধরনের একতরফা কোন সিন্ধান্ত দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটির এখতিয়ার বহির্ভূত। এ ধরনের সিন্ধান্ত দলের হতে পারেনা বরং তা আক্রোশমূলক বা ব্যাক্তিগত। তাছাড়া দীর্ঘ নয় বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ এ কমিটি জেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা না করে এমন চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেওয়া দলের স্বার্থ ও গঠণতন্ত্র বিরোধী ষড়যন্ত্র মূলক। এবিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাদিপুর ইউনিয়নের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও গেল পৌর নির্বাচনে কুলাউড়া পৌরসভার আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী এ কে এম সফি আহমদ সলমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ধরনের সিন্ধান্ত আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। পৌর নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে টাকার বিনিময়ে দলের বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে কৌশলে আমাকে অল্প ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এখন আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের জিগির তোলছেন। তাছাড়া হামলার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দলের বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দালালী করায় তাদের রোষানলে পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন দলের হাই কমান্ডের কাছে আমি ন্যায় বিচার প্রত্যাশী।