নবীগঞ্জে বিলের ভুয়া বাকীনামা দিয়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাত আদালতে মামলা, বাদীকে প্রাণনাশের হুমকী
নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জে প্রতারনার মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে জলমহাল কমিটির ভূয়া সভাপতি বানিয়ে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি বিল বাগী দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের বাশডর গ্রামের মৃত আকিল মিয়ার পুত্র কাটমা বিল নিয়ে কবির মিয়া জিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি দাবী করে এলাকায় প্রচার করে এবং কাগজ পত্রের মাধ্যমে বিশ্বাস সৃষ্টি করে। কবির জিয়া সমিতির আর্থিক অসুবিধা থাকায় কাটমা বিল (গ্রুপ জলমহাল) বাগী দিবে বলে প্রচার করে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে এগিয়ে আসে সদরঘাট গ্রামের মৃত সদর উদ্দিনের পুত্র আলমগীর মিয়া। সে নানা প্রলোভন দিয়ে একই গ্রামের মৃত দানিছ উল্লাহ‘র পুত্র শাহ ফয়জুর রহমানকে উক্ত বিল বাগী নিতে আগ্রহী করে। এর পর আলাপ আলোচনা ক্রমে সিদ্বান্ত মোতাবেক ও শর্ত সাপেক্ষে ফয়জুর রহমান সরল মনে আলমগীর মিয়া ও কবিরের মামা নবীগঞ্জ পৌর এলাকার রজনগর গ্রামের নুরুল আমীনের কথায় রাজি হয়ে কবির মিয়ার বাগীদার হিসেবে ১০ আনা ও অত্র সমিতি ৬ আনা অংশে ২ বছর জলমহালটি ভোগ দখল করার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত মাঘ মাসে বাগীনামা চুক্তিপত্রের মাধ্যমে উক্ত বিলে মাছ ধরা গেলে অপর একটি পক্ষ মালিকানা দাবী করে বাধাঁ প্রদান করেন। তারাও ৬ বছরের জন্য বাগী নামার মাধ্যমে উক্ত বিল লীজ নিয়েছে বলে দাবী জানায়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠক বসলে আসামী কবির মিয়া, আলমগীর মিয়া ও নুরুল আমীন টাকা ফেরৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু উক্ত প্রতিশ্রুতি দেয়ার অদ্যাবধি পর্যন্ত টাকা ফেরৎ না দেয়ায় অসহায় ফয়জুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ফয়জুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে বিবাদী পক্ষ তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে আসছে। ফলে তিনি চরম আতংক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মামলাটি বর্তমানে উপজেলা সহকারী (ভুমি) কার্যালয়ে তদন্তাধীন রয়েছে। প্রভাবশালী আসামীরা মামলাটি তাদের অনুকুলে নেয়ার জন্য অপচেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।