মৌলভীবাজারে সেন্ট্রাল রোডে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার : হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুম্রজাল
উত্তম কুমার পাল হিমেল, মৌলভীবাজার থেকে ফিরেঃ মৌলভীবাজার শহরের এম সাইফুর রহমান রোডের (সাবেক সেন্ট্রাল রোড) পাশে একটি বাসা থেকে জন্টু পাল (৪০) নামে এক যুবকের মাটির সাথে পা রাখা অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
জানাযায়, গত সোমবার (১ লা ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রুপক কান্তি গোস্বামীর বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জটু পাল কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামের মৃত নির্মল পালের পুত্র।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ ঘটনার স থে জড়িত সন্দেহে বাসার মালিক রুপক কান্দি গোম্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার আধুনিক হাসপাতাল মর্গে লাশর সুরতহাল রির্পোট করে পরিবারের লোকজনের কাছে সমজিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ লাশটি নামোর সময় তার পা মাটিতে লাগানো এবং একটি সাদা ধুতি অর্ধেক তার গলায় ও অর্ধেক ঘরের জালি ফ্যানের সাথে এলামেলোভাবে বাধা ছিল। তাই এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এনিয়ে পরিবারের লোকজনের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে লাশের পাশে নিহত জন্টু পালে ষষ্ট শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যা ঐশি পাল তার বাবাকে রুপক গোম্বামী হত্যা করেছে বলে কাদতে দেখা যায়।
এদিকে নিহত জন্টু পালের পরিবার বলছে এটি আতœহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যা। তাদের দাবি, রুপকের সাথে জন্টুর টাকা পাওনা ছিণ। আর্থিক লেনদেন নিয়ে কয়েক দিন যাবত মনোমালিন্য চলছে। এরই জের ধরে বাসার মালিক তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখতে পারে বলে পরিবারের লোকজন দাবী করেন।
এ ব্যাপারে রুপক গোস্বামীকে আসামী করে একটি লিখত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বাসার মালিক রুপক কান্তি গোস্বামী বলেন, ঝন্টু র্দীঘদিন ধরে আমার বাসার নিচে চা বিক্রি করে আসছিলো। সন্ধ্যায় তার রুমে হঠাৎ ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দিলে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালিক জানান, এটা হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। ময়না তদন্তের রির্পোটের উপর মামলার গতি নির্ধরন হবে।