শেখ হাসিনাকে ‘ফোর-টোয়েন্টি’ বললেন তারই সাবেক মন্ত্রী

ASM Abdur Robডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৯৬ সালের জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনার সরকার ইল্লিগ্যাল, বেআইনি। আপনি ফোর-টুয়েন্টি করছেন।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য ঢাকা মহানগর এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আ স ম আব্দুর রব শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) বেআইনি ও অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন বলে অন্যদের সব কর্মকাণ্ড বেআইনি মনে করছেন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতিকে নির্বাসন দেয়া হয়েছে। মান্নার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে বর্তমান অবৈধ ও বেআইনি সরকার ষড়যন্ত্র করে তাকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে কারারুদ্ধ করে রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের নয়, আওয়ামী লীগের সরকার। জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্র বানিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালাচ্ছে।’
মান্নার মুক্তি চেয়ে আ স ম রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অবৈধ সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্র করছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়ার কারণে ব্যক্তিগত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে মারাত্মক অসুস্থ মাহমুদুর রহমান মান্নাকে কোনো মামলা ছাড়াই বিনা বিচারে আটক করে রেখেছে। অবিলম্বে মান্নার মুক্তি না দিলে প্রধানমন্ত্রীকে ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবি জানিয়ে বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘মান্না ষড়যন্ত্র করেনি। তিনি সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে জনগণকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন। তার কাজে ভীত হয়ে তার বিরুদ্ধে টেলিফোন ষড়যন্ত্র করেছে সরকার।’
এ সময় তিনি জনগণকে সাথে নিয়ে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
নাগরিক ঐক্য ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেন- সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, খায়রুল আলম বকুল, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, নারী ঐক্যের নেত্রী অ্যাডভোকেট রুবী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ আটক করলেও আটকের বিষয়টি গোপন রাখে তারা। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা গোপন রাখার পর মান্নাকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি তার নামে রাষ্ট্রদ্রোহের দুটো মামলা করা হয়।