ইটালিতে পাঠানোর কথা বলে ভারতে নিয়ে জিম্মি, বড়লেখায় গ্রেফতার ২
বড়লেখা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানায় মানব পাচার ও মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় দু’জনেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৪ জানুয়ারি প্রতারণার শিকার ফখরুল ইসলাম ৬জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন (মামলা নং-৯)।
বাদীর মামলার প্রেক্ষিতে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই জাহাঙ্গীর আলম সোমবার ২৫ জানুয়ারি রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার দাসের বাজার ইউনিয়নের লঘাটি গ্রামের মনিয়া মিয়ার পুত্র লুৎফুর রহমান (৪০) ও আব্দুল মন্নানের পুত্র ডালিম মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-বর্ণি ইউপির পাকশাইল গ্রামের মৃত ফরিজ আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন (৪০), তাজ উদ্দিন (৩০), এখলাছ উদ্দিন (৩৪) ও লঘাটি গ্রামের মতিন মিয়ার পুত্র কাদির সুলতান (৩৫)।
থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের গাজিটেকা এলাকার বাসিন্দা বড়লেখা হাজীগঞ্জ বজারের ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলামের ছেলে সাদিক আহমদকে ২০১৪ সালের জুন মাসের দিকে ইটালীতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন জয়নাল আবেদীন। জয়নাল আবেদীনের প্রস্তাব ও অন্যান্য আসামীদের কথায় ফখরুল ইসলাম ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের ১৮ তারিখ থেকে বিভিন্ন সময়ে জয়নাল আবেদীনের জনতা ব্যাংক বড়লেখা শাখার একাউন্ট নং-৫৭৮৯ তে মোট ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন।
পরে ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ৯ তারিখে জয়নাল আবেদীন ফখরুল ইসলামের ছেলে সাদিককে ইটালী পাঠানোর কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যান। এর ১৫ থেকে ১৬ দিন পর আসামীরা ফোন করে ফখরুল ইসলামকে বলেন, সাদিকসহ অন্য যাত্রীরা ভারতে জিম্মি আছেন। নগদ ৪০ লাখ টাকা পেলে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে অন্যথায় মেরে ফেলা হবে। এর পর আসামীদের কাছে ফোনে অনেক আকুতির করে ১২ লাখ টাকা দিয়ে সাদিকসহ অন্য আসামীদের উদ্ধার করা হয়। ছেলেকে আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধারের পর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে থানায় মামলা করেন।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান মানব পাচার ও মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় দু’জনেকে গ্রেফতারের সত্যাতা নিশ্চিত করে জানান, অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।