আ’লীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে পেটালেন ‘এমপির ভাই’
ডেস্ক রিপোর্টঃ দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ক্যাডারদের দিয়ে বিবস্ত্র করিয়ে মারধর করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদলের ফুপাত ভাই কামাল উদ্দিন।
আর এসময় কামাল উদ্দিন মদ খেতে খেতে বলছিলেন, “আমি এমপির বড় ভাই..মার…আমাকে চাঁদা দিবি না।”
শনিবার রাতে নবীনগর থানায় দায়ের হওয়া এক মামলার সূত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদলের ফুপাত ভাই কামাল উদ্দিনের এমন কীর্তির কথা জানা গেছে।
নবীনগর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভোলাচং বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সত্য রঞ্জন দাশ সাংবাদিকদের জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি তার দোকানে থাকা অবস্থায় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলের ফুপাত ভাই কামাল উদ্দিন ফোন করে জরুরি কথা আছে বলে বাসায় ডাকেন। তখন তার দোকানে বসা আরেক আওয়ামী লীগ নেতা ও সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের এক কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বসা ছিলেন। তিনি তাকে নিয়েই কামালের বাড়িতে যান। যাওয়ার পর আলাউদ্দিনকে একটি রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সত্য রঞ্জন দাশ জানান, আধঘণ্টা দরজা ধাক্কানোর পর দরজা খোলা হয়। তখন ওই রুমে ঢুকে তিনি দেখতে পান আলাউদ্দিনের শরীরে কোনো কাপড় নেই। বিবস্ত্র করে তাকে পেটানো হচ্ছে। এরপর তাকেও মারধর শুরু হয়।
তিনি জানান, সাংসদের ভাই কামালের নির্দেশে মনির ও জালাল নামের দুই ব্যক্তি তাদের বিবস্ত্র করে পেটাতে শুরু করে। কামাল তখন তাকে বলেন ৫০ হাজার টাকা দিলেই ছেড়ে দেবো। এ সময় তার পকেট থেকে ৭ হাজার টাকা ও ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তার পকেট থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
কামাল বসে বসে তখন মদ খাচ্ছিলেন, আর বলছিল আমি এমপির বড় ভাই..মার..আমাকে চাঁদা দিবি না। সারারাত সত্যরঞ্জন ও আলাউদ্দিনের ওপর এভাবে নির্যাতন করে পরদিন সকালে ছেড়ে দেয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামাল উদ্দিন বলেন, শত্রুতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এসব অভিযোগ করা হয়েছে। নবীনগর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।