মাইজভান্ডারীরীর (ক.)’র ১১০তম ওরশ শরীফ আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন
সর্বজাতির মিলনকেন্দ্র মাইজভা-ার দববার শরীফ রহমত-হেদায়েত ও মুক্তির পবিত্র ঠিকানা
হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ম.জি.আ.)
গতকাল শনিবার ২৩ জানুয়ারি ২০১৬ইং মাইজভা-ার দরবার শরীফের প্রাণপুরুষ ও ত্বরিকায়ে মাইজভা-ারীয়ার প্রবর্তক গাউছুল আ’যম হযরত শাহ্সূফী আল্লামা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভা-ারী কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ কেবলা কাবা প্রকাশ ‘হযরত কেবলা’র বার্ষিক ১১০তম ওরশ শরীফ আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে মাইজভা-ার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়। ওরশ শরীফে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বিদেশ থেকে আসা লাখ লাখ ভক্তজনতার পদচারণায় দরবার শরীফ এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য। আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভা-ারীয়ার ব্যবস্থাপনায় খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া, হযরত কেবলার জীবনী আলোকপাত, ওয়াজ, মিলাদ-ক্বিয়ামসহ দিনব্যাপী ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে সর্বমানবতার কল্যাণ ও বিশ্বমুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে মধ্যরাতে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন মাইজভা-ার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, রাহবারে শরীয়ত ও ত্বরিকত, পেশোয়ায়ে আহলে সুন্নাত হযরতুলহাজ্ব শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভা-ারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। হযরত কেবলার জীবনদর্শনের উপর আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেনÑ ক্ষণজন্মা এ মহাপুরুষ ত্বরিকায়ে মাইজভা-ারীয়ার প্রবর্তন করে লাখো মানুষের মুক্তির পথ রচনা করেছেন। এ ত্বরিকা এতই সাবলীল ও সহজ যেÑ অতিসাধারণের পক্ষেও তা ধারণ ও আমল সম্ভব; যা থেকে ইহ ও পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত হয়। মাইজভা-ারী ত্বরিকা আজ বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে দিকভ্রান্ত মুক্তিপ্রত্যাশী মানুষ ও সর্বমানবতার কল্যাণে বিশ্বজুড়ে পথনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে; যার কারণে এ ত্বরিকা বিশ্বখ্যাতির মর্যাদা লাভ করেছে। তিনি বলেনÑ সর্বজাতির মিলনকেন্দ্র মাইজভা-ার দববার শরীফ রহমত-হেদায়েত ও মুক্তির পবিত্র ঠিকানা। এ দরবারের মহাত্মাগণের আধ্যাত্মিক করুণাছায়া আজ কোটি-কোটি মানুষের নাজাতের উসিলা। তিনি বর্তমান সময়ে বিশ্বের সকল প্রকার সহিংস-অমানবিকতা থেকে মুক্তি পেতে অসাম্প্রদায়িক ও মানবপ্রেমের দর্শন ‘মাইজভা-ারী ত্বরিকা’ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। ওরশ শরীফে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আল্হাজ্ব ফখরুল আনোয়ার, শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনÑ আন্জুমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খলিফা আলমগীর খান মাইজভা-ারী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খলিফা এডভোকেট ওয়াজউদ্দিন মিয়া মাইজভা-ারী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভা-ারী ট্রাস্টের সচিব এডভোকেট কাজী মহসিন চৌধুরী, হযরত মাওলানা মুফতী বাকী বিল্লাহ আল্-আযহারী, খলিফা হযরত মাওলানা রুহুল আমিন ভুঁইয়া চাঁদপুরী, হযরত মাওলানা বাকের আনসারী, খলিফা হযরত মাওলানা আবদুস সাত্তার, হযরত মাওলানা শেখ সাদী মুহাম্মদ আবদুল্লাহ সাদকপুরী, খলিফা আবদুল মান্নান, আন্জুমান মহানগর সভাপতি খলিফা আল্হাজ্ব বোরহান উদ্দিন, উত্তর জেলা আহবায়ক খলিফা আবদুল হামিদ, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ প্রমুখ।