মসজিদে মাদ্রাসায় সন্ত্রাস-বোমাবাজ বলে মুসল্লিদের তোপের মুখে আওয়ামীলীগ সভাপতি
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: মসজিদে মাদ্রাসায় সন্ত্রাস-বোমাবাজ বলে মন্ত্রব্য করে মুসল্লিদের তোপের মুখে পড়লেন ১২নং গিয়াসনগর ইউপি চেয়ারম্যন ও ইউপি আওয়ামীলিগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনর। জানা যায- গত ১৫ জানুয়ারী শুক্রবার জেলা সদরের ইমামবাজার সংলগ্ন বাজার মসজিদে জুম্মার খুৎবার পর আনোয়ারা বেগম মহিলা মাদ্রাসা ও এতিম খানা বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল এর চাঁদা ও সার্বিক সহযোগীতা চেয়ে বাজার মসজিদের ইমাম (মিরপুরী হুজুর) জুম্মার নামাজে বয়ান রাখলে ১২নং গিয়াসনগর ইউপি চেয়ারম্যন ইউপি আওয়ামীলিগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনর প্রতি উত্তরে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন- মসজিদ-মাদ্রাসায় সন্ত্রাস বোমাবাজ বলে মন্ত্রব্য করেন। তখন উপস্থিত মুসল্লিরা তার উপর চড়াও হলে মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় তিনি কোন রকম সেখান থেকে চলে আসেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আনোয়ারা বেগম মহিলা মাদ্রাসা ও এতিম খানা প্রতিষ্টাতা মাওঃ মুজাহিদ আহমদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন- আমি ঐদিন জুম্মার নামাজে উপস্থিত ছিলামনা। আমার মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল আগামী ২৬ জানুয়ারী। তাই আমি এ নিয়ে কোন প্রকার ঝামেলায় জড়াতে চাইনা। তবে শুনেছি ইউপি চেয়ারম্যান মসজিদ-মাদ্রাসা নিয়ে এ ধরনের মন্ত্রব্য করেছেন। তা ঠিক হয়নি। তবে তার পুত্র এলাকায় এসে পিতার পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধান করেছে। এ ব্যাপরে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যন ও ইউপি আওয়ামীলিগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আমার মন্ত্রব্যটা মসজিদের ইমাম সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন। দেশের কিছু মসজিদ মাদ্রাসায় সন্ত্রাস বোমাবাজ আছে। অনেক জায়গা থেকে তা উদ্ধার করা হচ্ছে। জামাত-শিবির এর একটি লোক মসজিদ থেকে বাহির হবার পথে আমার ছবি তুলে ইন্টারনেটে দিয়ে দিছে। এ সংবাদ লিখার সময় আজ ১৮ জানুয়ারী বিকাল ৪টায় তার মুঠোফোন (০১৭১৬-৯২০৬৫১) থেকে ফোন দিয়ে বলেন- আপনী কোন পত্রিকার সাংবাদিক, তখন এ প্রতিবেদক তার পরিচয় পুনরায় দিলে তিনি বলেন ঠিক আছে সংবাদটা আসলে আমাকে একটা পত্রিকা দিবেন।