মাত্র ৭ বছর বয়সেই দুই অন্ধ সহোদর এক মাসেই কোরআনে হাফেজ! (ভিডিও)
ডেস্ক রিপোর্টঃ ইচ্ছা শক্তি যে মানুষকে কত দূর নিয়ে যেতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দুই অন্ধ সহোদর হাসান-হোসাইন। জন্ম থেকেই পৃথিবীর আলো দেখেনি তারা। ছোটবেলা থেকেই কোরআন শোনার প্রতি আগ্রহ ছিল দু’জনের। যেখানেই কোরআন তেলাওয়াত হত সেখানেই ছুটে যেত। চোখে না দেখলেও মন দিয়েই শুনতো কোরআনের সূরাগুলো। আর সেই আগ্রহ থেকেই ৭ বছর বয়সেই মাত্র এক মাসে কোরআনে হাফেজ হলো দু’সহোদর। যেমন কণ্ঠস্বর, তেমন মায়াবী চেহারা তাদের। যেন একই বৃন্তে দু’টি ফুটন্ত গোলাপ। দু’ভাইয়ের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনে মুগ্ধ ফরিদগঞ্জবাসী।
জন্মান্ধ হয়েও শুনে শুনে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করেছে ৭ বছরের জমজ দু’ভাই হাসান-হোসাইন। সম্প্রতি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের মাহফিলে দু’ভাইয়ের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনে মুসলিমরা শুধু মুগ্ধই হননি, পুরস্কৃতও করেন তাদের। তাদের সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত আর সূরের মূর্ছানায় সবার হৃদয় বিগলিত করে। জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সাহেবগঞ্জ গ্রামের কামিন উদ্দিন ছৈয়াল বাড়ির মো. আলমগীর হোসেনের জমজ এ দু’সন্তান হাসান-হোসাইন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়ার পর যখন তারা সমাজের চোখে অবহেলিত ছিল, তখন বাবা-মা তাদের কোরআনে হাফেজ করে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য করার স্বপ্ন দেখলেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে আলমগীর হোসেন তার দু’জমজ সন্তান হাসান-হোসােইনকে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ মো. নজরুল ইসলামের কাছে কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি করিয়ে দেন। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তারা কোরআনে হাফেজ হয়ে যান। তারা শুধু কোরআনের সূরাগুলো মুখস্তই বলতে পারে না। শুদ্ধ তেলাওয়াতও করতে পারেেএখন তারা পাক্কা হাফেজ। তাদের বয়স এখন ৯ বছর। তাদের কোরআন তেলাওয়াত শুনতে প্রতিদিনই ভিড় করেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এলাকার লোকজনও তাদের খুবই আদর করেন। হাফেজ হাসান-হোসাইন ভবিষ্যতে বড় আলেম হতে চায়। ফলে তারা এখন কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওরা দু’জনই আমার ছাত্র। ইচ্ছাশক্তি থাকলে অন্ধ থেকেও যে আল্লাহর কালাম শরীফ পবিত্র কোরআন যে কেউ মুখস্ত করতে পারে হাসান-হোসাঈন তার বাস্তব উদাহরণ। আমি আশাবাদী, ওরা আগামীতে আরো ভালো করবে।