বিছানাকান্দিতে চাঁদা ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন
দেশের অন্যতম বৃহৎ পাথরকোয়ারী বিছানাকান্দিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাআদায় ও হয়রানির প্রতিবাদ এবং চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তোমপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লোকজন। তারা বলেন, চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসীর কারণে পর্যটন স্পট বিছানাকান্দি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি অশান্তিতে রয়েছেন এলাকার মানুষ। চাঁদাবাজ এই চক্রকে রুখতে তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
স্থানীয় কুপারবাজারে মানববন্ধনে সহ¯্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। মানবন্ধন পরবর্তী সভায় বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসী শামীম ও তাঁর সহযোগী বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয় ভীতি দেখিয়ে রুস্তমপুর ইউনিয়নের নিরীহ মানুষজনের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাঁর সহযোগীরা মামলা ও হয়রানির ভয় দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা লুটে নেয়। বিছানাকান্দি পাথর কোয়ারী এলাকায়ও চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িদেও ভয়ভীতি দেডষয়ে আসছে এই সন্ত্রাসী বাাহিনী। দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ করে গেলেও তাদেরকে আইনের আওতায় না আনায় সন্তাসীরা একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, রুস্তমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, ডা. নবী হোসেন, আব্দুস সালাম, শাহজাহান, হাবিবুর রহমান, শাহাব উদ্দিন সাবই, কালা মিয়া, মমিনুল ইসলাম স্বপন, আবুল হাসেম, তাজুল ইসলাম কুটু, আব্দুস সালাম, ফুল মিয়া, প্রমুখ।
উল্যাখ, গত ৭ জানুয়ারী বিছানাকান্দি পাথর কোয়ারীর বিজিবি ক্যাম্প সংলঘœ এলাকায় ডা. নবি হোসেনের মালিকানাধীন গর্তে টাইগার শামীম তার সহযোগীদেরকে চাঁদা আদায় করতে পাঠায়। এসময় ওই গর্তে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে চাঁদা নিয়ে টাইগার শামীমের সহযোগিদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসী চাঁদা উত্তোলনকারীদের গণধোলাই দেয় এবং ১ জনকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ব্যাপারে ডা. নবি হোসেন বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় মন্তাজ উদ্দিন মন্তুকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।