যেকোনো অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত
ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় যে কোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে আমাদের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণই দেশের শক্তি। আর সেনাবাহিনী জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই সেনাবাহিনীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। জনগণের আস্থা আর বিশ্বাস ছাড়া যুদ্ধ করা যায় না।
বৃহস্পতিবার রংপুরে সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া শেষে দরবারে প্রধানমন্ত্রী সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ সমকালীন বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সামরিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এ লক্ষ্যে পেশাগত মানের উৎকর্ষ সাধন এবং সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য তার সরকার বদ্ধপরিকর বলেও তিনি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সালেই প্রতিরক্ষা নীতিতে নির্দেশনা দিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদী দেশকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছে, সেনাবাহিনীকেও সেই মোতাবেক সক্ষমতার দিক থেকে স্বতন্ত্র ও প্রশাসনিকভাবে তিনটি কমান্ডে নিয়োজিত হতে হবে।
সেনাবাহিনীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের প্রশিক্ষণের দক্ষতায় বলতে পারি, আপনারা সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা বাহিনী। শহীদদের আত্মত্যাগ সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেশ রক্ষার দায়িত্বে আরও উজ্জ্বীবিত করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সেনাবাহিনীতে একটি কম্পোজিট ব্রিগেড, একটি পদাতিক ব্রিগেড, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনসহ একাধিক আর্টিলারি রেজিমেন্ট, রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, পদাতিক সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন, ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স ও ডিভ অর্ডিন্যান্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
নুতন পে-কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে সেনাসদস্যদেরও বেতন-ভাতা বৃদ্ধির করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১২৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোনো সরকারই এত বেতন বৃদ্ধি করেনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এই মহড়া দেখেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ ও প্রেসসচিব ইহসানুল করিম শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
বেলা পৌনে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে রংপুরের পাগলাপীরে খলেয়া হেলিপ্যাডে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তাকে স্বাগত জানান। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।