মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : আহত ৩৫
ডেস্ক রিপোর্টঃ মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণাবড়িয়া। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছিল।
সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষ চলাকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে অটোচালকের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তার পাশে থাকা এক ব্যবসায়ীর ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাদ্রাসাছাত্রকে একটি চড় দেন। এ ঘটনার পর অর্ধশত মাদ্রাসা ছাত্র হামলা চালিয়ে টিএ রোডের বিজয় টেলিকম এবং আমান টেলিকম ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে যোগ দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও। পরে পুরো শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্মুহু ককটেলের শব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে উঠে আতঙ্কের নগরী।
এসময় সদর থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন এবং বাংলানিউজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়সহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এমএ মাসুদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছে।