হাসপাতালে এসে থানায় বন্দী গৃহবধূ!
ডেস্ক রিপোর্টঃ শাশুড়িকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে চুরির অভিযোগে ফেঁসে গেলেন এক গৃহবধূ। চুরির অভিযোগে আটক মর্জিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শাহবাগ থানায় আটক আছেন। মর্জিনার শাশুড়ি জামিলা খাতুনের দাবি, তার ছেলের বউকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত শাশুড়িকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসেন মর্জিনা। এসময় অপরিচিত এক ব্যক্তি তার হাতে দুইটি বিছানার চাদর ও ২৪ পিস অ্যাম্পুল এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে দ্রুত হেটে চলে যায়। এর পরপরই আনসার সদস্যরা এসে তাকে আটক করে। পরে চুরির অভিযোগে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সরদার সামসুল আলম বাদি হয়ে মর্জিনার বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা করেছেন। বর্তমানে মর্জিনা শাহবাগ থানায় আটক আছেন। মর্জিনা আক্তার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার বিবির বাগিচার মিয়া চাঁনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমির হোসেনের স্ত্রী।
আমাদের মেডিকেল প্রতিনিধিকে মর্জিনা জানিয়েছেন, শাশুড়িকে নিয়ে আজ দুপুরে যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা মেডিকেলে আসেন। শাশুড়িকে হাসপাতালের ভর্তি করার পর হঠাৎ এক ব্যক্তি তার হাতে দুইটি বিছানার চাদর ও কিছু ইনজেকশন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে। চুরির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে আসছি শাশুড়িকে নিয়ে। কেন আমি চুরি করবো। আমি ঘটনার স্বীকার হয়েছি মাত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) খাজা আবদুল গফুর ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আনসার সদস্যরা মর্জিনার কাছেই জিনিসগুলো পেয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তের পর তিনি নিরাপরাধ হলে অবশ্যই ছাড়া পাবেন। এ ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত আছি বলে জানান তিনি।
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক ইমরানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালের একজন কর্মচারি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।